বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সকাল থেকে বিভিন্ন গণপরিবহন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সড়কে যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল আগের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। ঢাকার প্রবেশমুখে মহাসড়ক এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছেন পুলিশের সদস্যরা।
শনির আখড়া এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য বলেন, অবরোধ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
Leave a Reply