1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অষ্টম উইকেটে মাহফুজুর রহমান রাব্বির উইকেটই যেন বাংলাদেশের হতাশার গল্প লিখে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫৬ রান করতে হতো ৩৮ ওভারে। তাহলেই নিশ্চিত যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। তবে রাব্বির উইকেট যেন সব শেষ করে দিলো তাদের। তবে সেখান থেকেই অলৌকিক কিছু করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায় দশম উইকেটের ২৩ রানের জুটি। যদিও সেই অলৌকিক গল্পটা শেষ করা হয়নি শেষ দুই ব্যাটারের।  

যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে কেবল জিতলেই হতো না, বরং পাকিস্তানের রানরেটও টপকাতে হতো বাংলাদেশকে। বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকই সেরে রেখেছিলেন। তবে ব্যাটাররাই যেন খেই হারালেন। পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জুনিয়র টাইগাররা।

সেখান থেকে কিছুটা ভাল অবস্থানে এসেছিল বাংলাদেশ। তবে শিহাব জেমস আর মাহফুজুর রাব্বির কল্যাণে অনেকটাই এগিয়ে যায় যুবা টাইগাররা। এরপর অবশ্য আরেকদফা ছন্দপতন। শেষ উইকেটে দুই পেসার মারুফ মৃধা এবং রোহানাত দৌলা বর্ষন হয়ে গেলেন পুরোদস্তুর ব্যাটার। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতেই ভাঙ্গে তাদের প্রতিরোধ। বাংলাদেশের হার ৫ রানে।

যদিও শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। জিশান আলম ৪টি চারে বাংলাদেশকে দ্রুত সূচনাই এনে দিয়েছিলেন। তবে উবাইদ শাহের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে সাদ বেগকে ক্যাচ দেন তিনি। শিবলিও আউট হয়েছেন একইভাবে। ১১ বলে ৪ রান করেই সাজঘরে তিনি।

রিজওয়ান আউট হয়েছেন আলী রাজার বলে। কাকতালীয়ভাবে সেটাও সাদ বেগকে ক্যাচ দিয়ে। ৫০ পেরুনোর আগেই নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। প্রত্যেকেই পেস বোলারদের হাতেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন। আহরার আমিন এবং আরিফুল ইসলাম কিছুটা আশা দেখালেও ৭৬ রানে ফিরতে হয় আহরারকে। উবাইদের বলে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন হারুন আরশাদ।

এক রান পরেই আরও একটি অসাধারণ ফিল্ডিং। এবার শামল হুসাইনের উড়ন্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেছেন মিডল অর্ডারের বড় ভরসা আরিফুল। শেখ পারভেজ জীবনও টিকতে পারেননি। ৯ বলে ২ রান করে পয়েন্টে মিনহাসকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। বোলার সেই উবাইদ শাহ।

দলীয় ১২৩ রানে শিহাব আর ১২৪ রানে মাহফুজুর রাব্বির উইকেটই বাংলাদেশকে নিয়ে যায় খাদের কিনারায়। ১২৭ রানে ইমন আউট হলে বাংলাদেশের হার হয়ে যায় সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেখান থেকেই বর্ষন আর মারুফের প্রতিরোধ। ২৩ রানের জুটি দেখাচ্ছিল জয়ের স্বপ্ন। যদিও একেবারে শেষে এসে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে যান মারুফ। ৫ রানের হারে সুপার সিক্স থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহানাত দৌলা বর্ষন এবং শেখ পারভেজ জীবনের অসাধারণ বোলিং নৈপুণয়ে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পাকিস্তানও একশ পেরুবার আগেই ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মিনহাস এবং আসফান্দের ব্যাটে ভর করে দেড়শ পার করে তারা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারাতে ওটাই হয়ে যায় যথেষ্ট।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট