1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন

জামিন পেলেন না মির্জা ফখরুল, মন ভালো নেই স্ত্রী-কন্যার

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৮০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অনেক আশা নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও ছোট মেয়ে শাফারু মির্জা সুমি। তাদের আশা ছিল প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ হাইকোর্ট থেকে জামিন পাবেন। কিন্তু হাইকোর্ট এই মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দেন। 

এসময় সংবাদমাধ্যম কর্মীরা তাদের ছবি তুলতে গেলে ফখরুলের স্ত্রী বলেন, আমাদের ছবি তুলবেন না। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিএনপি নেতা ফরহাদ আজাদ বলেন, জামিন হয়নি। উনাদের, আমাদের মন ভালো নেই। আপনারা এভাবে ছবি তুলবেন না। এরপর গাড়িতে উঠে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী ও কন্যা ঢাকা জজ কোটের দিকে রওনা হন। সেখানে অন্য মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি রয়েছে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এসময় আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল,ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

সেদিন রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।

গত ৭ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন  জামিন দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ২২ নভেম্বর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

ঢাকা  মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর একই আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচি ডাক দিয়ে শর্ত ভঙ্গ, পুলিশ হত্যা, নাশকতা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এসব ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। দিনভর ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর রাতে আদালতে তোলা হয় বিএনপি মহাসচিবকে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট