1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন

সবজি-ব্রয়লারের বাজার স্থিতিশীল, কমেছে মাছের দাম

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১২১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আগের সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও শীতকালীন সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কিছুটা স্বস্তি এসেছে মাছের বাজারেও।

সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছ কেজি প্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। গরুর মাংসের দাম কমে যাওয়ায় এর প্রভাব মাছের বাজারে পড়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এ দামে বিক্রি হচ্ছিল।

তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মাসুম বলেন, গত সপ্তাহের শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। আজও একই দামে বিক্রি করছি। তবে গতকাল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার হওয়ায় পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৫ টাকা বেশি দিয়ে আনতে হয়েছে। এছাড়া সোনালি ২৭০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৬০, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০, লেয়ার ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

হরতাল অবরোধের মধ্যেও চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজি আমদানি ভালো থাকায় শিম, গাজর ও ফুলকপিসহ সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এ সপ্তাহে সব ধরনের সবজি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ছে বিধায় আগামী সপ্তাহে শীতকালীন সবজির দাম কমে আসতে পারে বলে আশা করছেন তারা।

শেওড়াপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা খালেক বলেন, শীতের সবজি বাজারে প্রচুর পরিমাণে আসছে। হরতাল, অবরোধের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুব একটা দাম কমছে না। তবে উৎপাদন যেভাবে বাড়ছে, আশা করা যায় আগামী সপ্তাহে সবজির দাম কমে আসবে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৫০, বরবটি ৮০, ধুন্দুল ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, শসা ৬০ থেকে ৭০, পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে এবং ধনে পাতা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা এবং জালি কুমড়া ৪০ টাকা। এদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০, দেশি পেঁয়াজ ১৩০, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ এবং কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায়।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৭০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০, কচুরমুখী ৭০ এবং গাজর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০, মূলা শাক ১০, পালং শাক ১৫, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২০০ এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

গরু মাংসের দাম কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। এসব বাজারে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ (চাষের) আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৯০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, তেলাপিয়া ২২০, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০, মলা ৫০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, কাচকি মাছ ৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০, রুপচাঁদা ১ হাজার, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০, দেশি কই ১০০০, মেনি মাছ ৭ হাজার ৬০০, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০, আড়ই মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট