রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫৫টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ১৪৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও সাতটি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা করা হয়েছে। ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৮ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো শেষ হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের বুথগুলোতেও থাকছে এই ক্যামেরা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সতর্কতা থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা থাকবেন। নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন তিন হাজার ৫১৪ জন পুলিশ সদস্য, এক হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। এছাড়া নগরজুড়ে টহলে থাকবে ৩০০ জন র্যাব সদস্য। একইসঙ্গে কাজ করবে ১০ প্লাটুন বিজিবির সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন তিন হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা ১৫৫টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই মেয়র পদে বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১২ জন। আর সংরক্ষিত নারী আসনের ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাসিকে এবার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) ভোটার ছয়জন।
Leave a Reply