সরকারের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ‘লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আলোচনায় বসব না’।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, আলোচনা তো আগেও হতে পারত। আলোচনা আর গোলাগুলি একসঙ্গে হয় না। লাশের ওপর দিয়ে তো আলোচনায় যাওয়া যায় না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা কিছু দাবি জানাব। সেই দাবিগুলো পূরণ সাপেক্ষে আলোচনা হতে পারে। সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে আমরা লিখিত আকারে জানাব, যাতে করে ভুলভাবে আমাদের দাবি উত্থাপিত না হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, গুলির সাথে কোনো সংলাপ হয় না। এই রক্তের সাথে বেইমানি করার থেকে আমার মৃত্যু শ্রেয়!
উমামা ফাতেমা নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আন্দোলনকারী সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি উমামা ফাতেমা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটির একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। একটু আগে দেখলাম কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে সরকার আলোচনায় বসার কথা বলছে।
১২টা লাশের উপর দাঁড়ায়ে কিসের আলোচনা? খুনিদের সাথে কোনো সংলাপ হবে না। খুনিদের সাথে কোনো আপস হবে না। ”
Leave a Reply