সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোক ও জব্দ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
আদালত আদেশে বলেন, মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুদক বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হলো। ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না এবং জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
একই ভাবে আজ আরও ১১৯টি স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আরও ১১৯টি সম্পদ ক্রোকের আদেশ আসলো।
এর আগে গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
Leave a Reply