রাজধানী জুড়ে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় বারোয়ারি জাতের লিচু। মৌসুমের শুরু হওয়ায় এই জাতের ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এই লিচুর পাশাপাশি আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের কদমী ও চায়না-৩ জাতের লিচু। রাজধানীতে এসব জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা শ’তে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত তিন-চার দিন ধরে লিচু বাজারে আসা শুরু হয়েছে। তাই এখন লিচুর দাম বেশি, আবার ক্রেতাও কম। অন্যান্য জাতের লিচু বাজারে আসতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগবে। তখন লিচুর দামও কমবে আর বিক্রিও বাড়বে।
রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তান ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাত ও বাজারগুলোতে আকারে ছোট, আধা-কাঁচা দেশি লিচু বিক্রি হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, মেহেরপুর, পাবনা ও খুলনা অঞ্চল থেকে আসা এই লিচুর নাম ‘বারোয়ারি’ বলছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ‘কদমী’ ও ‘চায়না-৩’ লিচু বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে পরিমাণে খুবই কম।
গুলিস্তানে এক যুগ ধরে ফলের ব্যবসা করেন চাঁদপুরের শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুই দিন হলো বারোয়ারি লিচু বিক্রি করছি। এখনো লিচুর মৌসুম পুরোপুরি শুরু হয়নি। এখন বাজারে রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী ও মেহেরপুরের বারোয়ারি লিচু আসছে। ১০০ লিচুর আটি বিক্রি করছি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
মুগদার বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, বছরের প্রথম লিচু দেখে কিনলাম। ১০০ লিচুর দাম নিয়েছে ২৬০ টাকা।
তিনি বলেন, লিচু দেখেই মনে হয়েছে এগুলো এখনো পাকেনি। আর কিছু দিন গেলে পরিপক্ব হতো। কিন্তু বেশি দামের আশায় বাজারে চলে এসেছে।
মতিঝিলের রাজউকের সামনের ফুটপাতে অন্যান্য ফলের সাথে কদমী লিচু বিক্রি করছেন শান্ত আরেফিন। তিনি বলেন, কদমী লিচু নারায়ণগঞ্জ থেকে আসে। দারুণ সুস্বাদু এই লিচু শ প্রতি ৭০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সোনারগাঁয়ের লিচু সবার আগে পাকে। সোনারগাঁওয়ে সাধারণত পাতি, কদমী ও বোম্বাই (চায়না-৩) জাতের লিচু উৎপাদিত হয়। আবহাওয়ার কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। প্রতিবছর মে মাসের প্রথমদিকেই লিচু বাজারে যায়। প্রথম পাতি জাতের লিচু, পরে কদমী জাতের লিচু ও সর্বশেষ বোম্বাই জাতের লিচু পেকে থাকে। আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে এ অঞ্চলের লিচুকে ‘দিল্লিকা লাড্ডু’ বলে থাকেন।
কিন্তু এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর লিচুর ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এছাড়া শিলা বৃষ্টির কারণে লিচুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply