সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। ভোর থেকে বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ, সেই বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে ফুল হাতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আসেন হাজারো মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি। একইসঙ্গে দলে দলে ফুল হাতে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে প্রবেশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় অনেকে লাল-সবুজের পোশাক পরিধান করে হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ ছাড়া শিশু-কিশোর থেকে বয়োবৃদ্ধরাও আসেন জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেদিন রাতে পাক বাহিনী বাঙালিদের ওপর নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালায়। পরে বাঙালিরা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ শেষে পৃথিবীর বুকে স্থান পায় নতুন এক ভূখণ্ডের। ৩০ লাখ শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে বাংলার বুকে ওড়ে লাল-সবুজের পতাকা।
এর আগে, এদিন সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে ৬টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply