1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন জাকির নায়েক জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছাল দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত থাকবে আরো পাঁচ দিন- আবহাওয়া অধিদপ্তর ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ৮ বাংলাদেশি নিহত গাজা যুদ্ধ বন্ধে মিসরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের আলোচনা শুরু রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস উত্তরায় সাংবাদিক পেটানো সেই আকাশ দুই সহযোগীসহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ফাঁকা ঢাকায় চলাচলে স্বস্তি, নেই চিরচেনা যানজট  মব আতঙ্কে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রাজধানীর উত্তরাবাসী, সমন্বয়ক কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা

রাজশাহীতে আদালতের বিচক্ষণতায় বেঁচে গেলো একটি সংসার, হাসি মুখে বাড়ি গেল দম্পতি

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় রাজশাহীর আদালত চত্বরে বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। প্রতিটি আদালতের সামনেই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বিচার প্রার্থীদের। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ একটি যৌতুকের মামলায় জামিন শুনানি কালে শিশুর কান্নার আওয়াজ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারক মাসুদুজ্জামানের। বাদীর কাঠগড়ায় একটি সদ্য সাবালিকা মেয়ে (১৮/১৯) কোলে ৬ মাসের ফুটফুটে একটি শিশু কাদঁছে। আসামীর কাঠগড়ায় (২২/২৩) একটি তরুণ দাঁড়িয়ে।

আদালত সূত্র জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার সমসাদিপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে শিমুল পারভেজ এর সাথে একই গ্রামের স্বপন আলীর মেয়ে জান্নাত ফেরদৌস মিতুর বিয়ে হয় গত এক বছর ৮ মাস আগে। এর পর সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে আসামি বাদীনিকে তালাক প্রদান করে। ইতিমধ্যে তালাক কার্যকর হয়ে যায়। জামিন শুনানিকালে বাদীনির চোখে পানি এবং আসামিকে মাথা নিচু করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বাদী ও আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের বক্তব্য চলতে থাকলেও আদালতের দৃষ্টি ছিল শিশুটির দিকে। শুনানীর এক পর্যায়ে বিচারক বলে উঠলেন শিশুটির ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বাদী এবং আসামি এক হতে চায় কিনা?

ঠিক তখনই বাদীনি এবং আসামী পরস্পরের কিছু দোষ ত্রুটি উল্লেখ করেন আদালতের সামনে। আদালত মনদিয়ে তাদের কথা শোনার পর বর্তমান সামাজের প্রেক্ষাপটে কিছু উপদেশ মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তার পর বরফ গলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাদী এবং আসামী উভয়ে আদালতের মধ্যস্থতায় নতুনভাবে সংসারে ফিরতে রাজি হন।

ঘড়িতে বেলা ১টা বাজতেই রাজশাহী মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। একে একে আদালতের এজলাস কক্ষে হাজির হন মেয়ে পক্ষের অভিভাবক, ছেলে পক্ষের অভিভাবক, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, বাদী ও আসামী পক্ষে নিযুক্তিয় আইনজীবী, বিভিন্ন কোর্টের কর্মচারী ও বিচার প্রার্থীরা।

সর্বশেষ হাজির হন রাজশাহী মহানগর ৪ নং ওয়ার্ডের কাজী মো: জহিরুল ইসলাম। আদালতে কক্ষের ভিতরেই ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে পরানো হয়। বিয়ের পরেই আদালত অঙ্গনে শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ। এ সময় উৎসুক জনতা বিবাহিত দম্পতিদের দেখতে আদালতে ভীড় করতে থাকেন। অনেকেই তাদের স্বাগতম জানান।

বিয়ে শেষে বিচারক মাসুদুজ্জামান বাদীনি ও আসামিকে তার খাস কামরায় ডেকে নিয়ে সংসারের বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। তাদের শিশুটিকে কোলে নিয়ে কিছুক্ষণ আদর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাদী পক্ষের আইনজীবী রেবেকা সুলতানা (সুমি), মোর্শেদা বানু হেনা, আসামী পক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম, রুবিনা খাতুন, বাদীর বাবা স্বপন আলী, মা মিতা বেগম, আসামীর বাবা শরিফুল ইসলাম, মা শ্যামলি বেগম।

রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, প্রতিটি সন্তানেরই স্বাভাবিক জীবনজাপনের অধিকার রয়েছে। আদালতের মানবিকতায় আজ যে বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো তা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট