প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আজ। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত আসবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ট্রেন সফরে সঙ্গী হবেন ফরিদপুরের ১১ পেশার ১১ জন ব্যক্তি। যাদের মধ্যে গার্মেন্টসকর্মী, হকার, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, ছাত্রী, নারী উদ্যোক্তা, মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা সবাই ফরিদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বহরে যুক্ত হয়ে মাওয়া থেকে ট্রেনে ভাঙ্গায় আসবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ১১ সফরসঙ্গীরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি আমিনুর রহমান, সবজি বিক্রেতা হেলাল উদ্দিন, গার্মেন্টসকর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসচালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, পেঁয়াজ বীজ চাষি ও নারী উদ্যোক্তা সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান এবং মাদরাসা শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাওয়া অনুযায়ী ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হবে। পরে তারা ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বহরে যুক্ত হয়ে ফরিদপুরে আসবেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সফরে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাবেন।
নারী উদ্যোক্তা সাহিদা বেগম বলেন, সফল পেঁয়াজ চাষি ও নারী উদ্যোক্তা হিসেবে জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছি। স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হব। সেই সুযোগ পেয়েছি। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এটা আমার জীবনের সেরা পুরষ্কার। এই দিন আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এই সুযোগ পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
Leave a Reply