1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে দর্শনার্থীদের ঢল

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে চলছে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের মধ্যে পড়েছে টানা তিনদিনের ছুটি।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছিল আয়োজনের তৃতীয় দিন। এদিন কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। শনিবার পর্যন্ত কোনো কক্ষ খালি নেই হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলোতে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন করেছে। এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে মেলা চলাকালীন থাকা-খাওয়া, যাতায়াত ও বিনোদনসহ অন্তত ১৫টি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে চালু করা হয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ। মেলাকে ঘিরে কক্সবাজার শহরকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আয়োজনের এই তিন দিনে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে কক্সবাজারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সমুদ্রসৈকতের তিন কিলোমিটার এলাকায় সাজ সাজ রব। লাবণী পয়েন্ট সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এখানে সৈকতে নামার ফটকে মেলা ও বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ।

মঞ্চের সামনে সড়কের দুই পাশে সারি সারি স্টল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলায় ঘোরাঘুরি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ রয়েছে। পর্যটকরা এসব ঘুরে ঘুরে দেখছেন।

লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে শুক্রবার সকালে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক নেমেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী বেলাল হোসেন।

তিনি বলেন, কোথাও ঠাঁই নেই। পর্যটকরা নীল জলরাশিতে গোসলে নেমে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন।

কলাতলী হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। হোটেলগুলোর সব কক্ষ বুক হয়ে গেছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, শনিবার পর্যন্ত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের সব কক্ষ ভাড়া হয়েছে। আগেভাগে যারা কক্ষ ভাড়া নিয়েছেন, তারা ছাড় পেয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, পুরো সমুদ্র সৈকত সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল ঘিরে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মৌসুমের শুরুতেই পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট