টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে রাজধানীর তুরাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন এক বিবাহিত তরুণী। গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা আনোয়ার।
এর আগে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তিনি এখন জামিনে আছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। সেই সুবাদে তিনি বাবার সঙ্গে দক্ষিণখান এলাকায় বসবাস করেন। দুই মাস আগে বড় মনির সঙ্গে তার ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। পরিচয়ের সুবাদে বড় মনি তাকে ‘ছোট বোন’ বলে ডাকতেন। এরপর থেকে ভিকটিমের সঙ্গে বড় মনি ফোনে কথা বলতেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বড় মনি জানান, তার বাড়ি টাঙ্গাইলে। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১০টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মাসকট প্লাজার পেছনে এসে ভিকটিমকে ফোন দেন বড় মনি। তিনি বলেন, ‘আপু আমি তো ঢাকায় এসেছি? তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবা? আমি সকালে টাঙ্গাইল চলে যাব।’ পরে ভিকটিম মাসকট প্লাজার পেছনে এসে বড় মনির সঙ্গে দেখা করে। বড় মনি তার গাড়িতে ভিকটিমকে উঠান। তার সঙ্গে কথা বার্তা শেষে ভিকটিমকে বাসার সামনে নামিয়ে দেন। এর পরদিন বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উত্তরা জমজম টাওয়ারের সামনে ভিকটিমকে ফোন দিয়ে থাকতে বলেন বড় মনি। সেই অনুযায়ী ভিকটিম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জমজম টাওয়ারের সামনে আসেন। এর ঠিক ১০-১৫ মিনিট পর বড় মনি রিকশাযোগে আসেন এবং ভিকটিমকে রিকশায় করে তুরাগ থানা এলাকার প্রিয়াংকা সিটি নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বড় মনি।
Leave a Reply