1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর তানোরে স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগ বাটোয়ারার ভিডিও ভাইরাল

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৮৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) চৌরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগে লক্ষাধিক টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে এলাকায়।

এ ঘটনায় (১৩ মে) শনিবার এলাকাবাসী ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক ডিসি ও আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বনগাঁ চকরহমত উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের টাকা প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপনের ঘনিষ্ঠ সহচর এমরান আলী ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানান, স্কুলের ৪টি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধির নামে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলেমিশে লোপাট করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সাংসদের নাম ভাঙিয়ে এসব টাকা লোপাট করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ কার্যক্রমে সাংসদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী মতাদর্শীদের বঞ্চিত করে বিএনপি মতাদর্শীদের চাকরি দেয়া হয়েছে বলেও ক্ষিপ্ত আ.লীগের নেতাকর্মীরা।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানায়, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হলে, প্রতিষ্ঠানে ১৪৪ ধারা জারী, সীমানায় লাল নিশান উড়ানো ও বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই করা হয়নি। নীতিমালা লঙ্ঘন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছেন। এদিন আয়া-পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

স্থানিয়দের অভিযোগ, গত (১২ মে) শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌরখৈর স্কুল মোড়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যে চারজন প্রার্থীকে আলাপ করতে দেখা গেছে। পরের দিন ১৩ মে শনিবার চাকরির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কাকতালীয় ভাবে সেই চারজন উত্তীর্ণ হয়। এতে প্রমাণ হয় এটা জালিয়াতি করে নিয়োগ বাণিজ্যে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি স্থানিয়দের। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশে যেভাবে নিয়োগ হয় এখানেও সেভাবে নিয়োগ হয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন বলেন, কোনো অনিয়ম করা হয়নি। একটি মহল এসব অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, নিয়োগ হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট