আড়াই প্যাঁচের রসালো জিলাপি কমবেশি সবারই প্রিয়। আর ভোজনরসিক হলে তো কথাই নেই।
এই রমজানজুড়ে সন্ধ্যার ইফতারে জিলাপি তাদের চাই-ই চাই।
তাইতো স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে রেখে ঐতিহ্যের যুগ যুগ ধরে গ্রাহকদের চাহিদাপূরণ করে চলেছে রাজশাহী মহানগরের গণকপাড়ার অভিজাত মিষ্টি বিপণি বেলিফুল। অন্যান্য মিষ্টি দোকানের পাশাপাশি বেলিফুলের ‘শাহী জিলাপির’ কদর তুঙ্গে।
রোজা উপলক্ষে মিষ্টির দোকানে মিষ্টির চেয়ে জিলাপি ও দই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান দোকানিরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর গড়াতেই দেখা গেছে রাজশাহী মহানগরীর এই অভিজাত মিষ্টি বিপণিতে সদ্য ভেজে তোলা চিনির রসে ডোবানো গরম-গরম জিলাপি কিনতে আসছেন। এখানে অন্যতম ইফতার আইটেম হচ্ছে এই রসে ভেজা জিলাপি।
জিলাপির মধ্যে এই দোকানে সবচেয়ে আলাদা জিলাপি হচ্ছে মাসকালাই আটার তৈরি আমিত্তি। গেল বছর থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই জিলাপি। বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। এছাড়া এখানকার শাহী জিলাপিও সবার পছন্দ। এখানে শাহী জিলাপি ১৮০ টাকা, রেশমী জিলাপি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গ্রাহকের তৃপ্তি মেটাতে রয়েছে ১২০ টাকা লিটারের স্পেশাল মাঠা।
রাজশাহীর ওই বেলিফুলে ইফতারের জন্য দইজাতীয় ইফতার আইটেমের মধ্যে রয়েছে কড়া মিষ্টির দই ১৬০ টাকা কেজি, টক মিষ্টির ১৮০ টাকা কেজি, স্পেশাল টক দই ২৪০ টাকা কেজি। এছাড়া সব সময়ের মতো সাধারণ টক দই ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজান মাসে ওই জিলাপি দিয়ে শুরুতেই মিষ্টিমুখ করতে পছন্দ করেন অনেক রোজাদার। এর ফলে প্রতিবছর রোজা এলেই জিলাপির কদর দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এজন্য পুরো রমজানে এর চাহিদা ব্যাপক।
রাজশাহীর বেলিফুল মিষ্টি বিপণিতে শাহী জিলাপি কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, এই দোকানের শাহী জিলাপি অনেক স্বাদের। তাই তো তারা প্রতিবছর রমজান এলেই ইফতারের জন্য এই বেলিফুলের স্পেশাল শাহী জিলাপি কেনেন। জিলাপির ওপরের অংশ শক্ত ও মচমচে ভাজা। আর ভেতরে টসটসে রসে ভরা। দুগ্ধজাত মিষ্টির চেয়েও এই জিলাপি দামে অনেকটা সস্তা হওয়ায় সবাই এর স্বাদ নেন প্রতিদিনের ইফতারে। ইফতারে বাড়ি ছোট-বড় সবাই মিলে তৃপ্তিসহকারে খেতে পারেন এই জিলাপি।
রাজশাহীতে শাহী জিলাপির জন্য খ্যাত বেলিফুল মিষ্টি বিপণীর স্বত্বাধিকারী প্রদীপ কুমার জানান, বিশেষত: এই জিলাপির আইটেম কেবল রমজানেই করা হয়। বছরের অন্য সময় তারা কেবল দই-মিষ্টি, ঘি, সেমাই, শনপাপড়ি বেচেন। এগুলো পাওয়া যায় না। আর রোজায় স্পেশাল শাহী জিলাপির বেশ কদর রয়েছে।
আর রমজান মাসে ইফতারে মানুষ মিষ্টির চেয়ে জিলাপি বেশি পছন্দ করেন। তাই বিক্রিও বেশি হয়। আর স্পেশাল আইটেম হিসেবে শাহী জিলাপি শুধু বেলিফুলেই তৈরি করা হচ্ছে।
জিলাপির পাশাপাশি ডালডায় ভাঁজা লাচ্চাসেমাই ৩০০ টাকা এবং ঘিয়ে ভাঁজা লাচ্চাসেমাই ৫০০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।
Leave a Reply