1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ডাচ বাংলার এজেন্ট

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৭৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি বাজারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট মেসার্স সরকার ফার্মেসী গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকার দাবিতে শাখাটির সামনে অবস্থান করেন এবং এক পর্যায়ে শাখাটিতে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন।

মেসার্স সরকার ফার্মেসীর মালিক উপজেলার বাটুপাড়া গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে আরজেদ সরকার ও তার শ্যালক শাহিন বর্তমানে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, টাকা জমা দেয়ার রসিদ, কারেন্ট বিল পরিশোধের রসিদ দিলেও সেই অর্থ জমা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। আর সেই টাকা জমা নিলেও তা একাউন্টে জমা করেননি এজেন্ট মালিক।

জানা গেছে, নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের মুজাহার আলী গত ১৬ মার্চ কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলন করে মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু পরদিন সেই টাকা উত্তলন করতে গেলে তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা নেই।

হরিফলা গ্রামের মোস্তফা টাকা জমা রাখেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার। উত্তলন করেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু পরবর্তীতে বাকি ৯০ হাজার টাকা উত্তলন করতে গেলে তার একাউন্টে মাত্র ১০ হাজার টাকা পান। বাকি টাকা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন শাখার মালিক। কালিগ্রামের মেহের আলী ৮ লক্ষ টাকা একাউন্টে জমা রাখেন। কিন্তু সেই টাকা জমার রসিদ দিলেও একাউন্টে জমা হয় মাত্র ৫৬ টাকা।

আরও জানা গেছে, বাটুপাড়া গ্রামের শিউলি বেগম জমা রাখেন ৯০ হাজার। উত্তলন করেন মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ৫৫ হাজার টাকা তুলতে গেলে একাউন্টে মাত্র ৫ হাজার টাকা আছে বলে জানতে পারেন। একারণে তার সংসার ভাংঙার উপক্রম।

তিনি আর টাকা ফেরত পাননি। মৌগাছি গ্রামের রেজিয়া বিবি ৫৬ হাজার টাকা জমা রেখে ৫ হাজার টাকা উত্তলন করেন। বাকি ৫১ হাজার তিনি আর তুলতে পারেননি। বাটুপাড়া গ্রামের যাদু বেগম ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জমা করেন কিন্তু তার একাউন্টে কোন টাকাই জমা হয়নি।

হরিহরপাড়ার মিনারুল জমা রাখেন ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা কিন্তু কয়দিন পর উত্তলন করতে গেলে জানতে পারেন তার একাউন্টে কোনই টাকা জমা হয়নি। নুড়িয়াক্ষেত্র গ্রামের অনেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারেন তার টাকা জমাই হয়নি। বিল বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দেয়া হয়।

মোহনপুর থানার ওসি সেলিম বাদশাহ বলেন, মৌগাছি বাজারে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট শাখায় প্রতারিত গ্রাহকদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাখাটি তালাবদ্ধ পায়। তবে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। ভুক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট