1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে, খরচ কেজিতে ৩০ টাকা

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ১৬১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দুই দিনে প্রায় ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টন পেঁয়াজ ঢুকেছে বাংলাদেশে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ এসেছে। আমদানির এলসি, শুল্ককর, ট্রাকভাড়া, আনুষঙ্গিক খরচ, পচা পেঁয়াজ বাদ দিয়ে দেশে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিকেজিতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ৩০ টাকা।

সূত্র জানায়, এবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মানভেদে ১৪ থেকে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। প্রতি কেজিতে শুল্ককর প্রায় সাড়ে ৩ টাকা।

এর সঙ্গে ট্রাকভাড়া, কুলির মজুরি, স্টোর রেন্ট, ২৫ শতাংশ নষ্ট পেঁয়াজ বাদ দিয়ে আমদানিকারকের কেজিপ্রতি খরচ প্রায় ৩০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ জানান, সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে।

মঙ্গলবার এসেছে ৪১ ট্রাক পেঁয়াজ। এভাবে প্রতিদিন আসতেই থাকবে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ এমনিতে পচনশীল পণ্য। তারওপর এখন প্রচণ্ড গরমের মৌসুম। গড়ে ২৫ শতাংশ পেঁয়াজই ড্যামেজ (নষ্ট) হচ্ছে। এলসির ডলার রেট, ট্রাক ভাড়া, লেবারসহ আনুষঙ্গিক খরচ, শুল্ককর, ২৫ শতাংশ ড্যামেজ বাদ দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাতে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ৩০ টাকা খরচই পড়ছে। আমরা যদি কেজিতে ৫০ পয়সা বা ১ টাকা লাভ করে বিক্রি করি তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪০ টাকা বিক্রি সম্ভব। এর জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তদারকি জোরদার করতে হবে।

দেশের বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ বিপণি কেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ভারতের পেঁয়াজ স্থলবন্দরে ঢোকার পর থেকেই খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বাজার স্থবির হয়ে পড়েছে। আজ ৫০-৬০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে আড়তে। তবে ভারতের পেঁয়াজ বুধবার থেকে খাতুনগঞ্জের বাজারে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজের দর নির্ধারণ হবে বাজারে আসার পর ক্রেতাদের চাহিদার ওপর। চট্টগ্রামে ভারতের পেঁয়াজের আমদানিকারক না থাকায় স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বেপারিরা এখানের আড়তে পেঁয়াজ পাঠিয়ে দেন। তাদের নির্ধারিত দরে আমরা বিক্রি করে কেজিতে ৭০ পয়সা কমিশন পেয়ে থাকি।

পেঁয়াজ আমদানিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এরপর ব্যাংকে এলসি খুলতে পারেন আমদানিকারক। কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দেয় কৃষি বিভাগ। এরপর ৪ জুন পর্যন্ত দেশে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সুযোগে পেঁয়াজের দাম ওঠে আড়তে ৯০ টাকা পর্যন্ত, খুচরায় ৯৫ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট