1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

ডিপিডিসির সহকারি প্রকৌশলীর ২টি আলিশান বাড়ি, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও অফিস করছেন বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রাজধানীর ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) খিলগাঁও জোনের সহকারী প্রকৌশলী ডেইজি আক্তার দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। উচ্চ বিলাসী জীবন যাপনসহ সন্তানদের পড়া লেখা করাচ্ছেন কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও তার তোয়াক্বা না করেই বীরদর্পে করছেন অফিস।

বাবার মৃত্যুর সুবাদে সরকারী চাকরি পেয়ে যেনো আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেলেন এই ডেইজি আক্তার। অর্থ লোভী এই নারী বাবার সম্পত্তি একাই আত্মসাৎ করার লক্ষে আপন ছোট তিন ভাইয়ের সাথে প্রতারনা করতেও দ্বিধা করেননি। নিজ এলাকা গাজীপুর সদর থানার ভুরুলিয়ায় নির্মাণ করেছেন সাত তলায় একটি আলিশান বাড়ি। একই এলাকায় রয়েছে আরেকটি চারতলা বাড়ি।

ডেইজি আক্তারের আপন ভাই মাসুদ খান প্রিন্স জানান, ডেইজি আক্তার একজন স্বার্থান্বেষী,অর্থ লোভী এবং প্রতারক। সে শুধু আমাদের সাথেই প্রতারণা করেনি তার স্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা করেছেন। আমাদের কে বাবার সম্পত্তি থেকে বিতারিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের দুই ভায়ের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।

মাসুদ খান প্রিন্স আরোও বলেন, আমাকে ফ্ল্যাট দিবে বলে আমার কাছ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে আমার আপন বড় বোন ডেইজি আক্তার। ২০১৭ সালে ভবন নির্মাণ এর কাজ শেষ হওয়ার পর সে আর আমাকে ফ্ল্যাট দিতে রাজি হয়নি। বারবার তার কাছে যাওয়ার পর সে আমাকে পরবর্তীতে ফ্ল্যাট এর পরিবর্তে ৭৫ লক্ষ টাকা আর একটা চেক প্রদান করে। কিন্তু ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় এই একাউন্টে টাকা নাই। এর জন্য আমি আদালতে মামলা করেছি উক্ত মামলায় আমার বোনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আথচ ওই মামলায় জামিন ছাড়াই তিনি বর্তমানে খিলগাঁও অফিসে অফিস করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডেইজি আক্তার গাজীপুর সদরে ৬ শতাংশ জায়গার উপর ২০১৩ সালে কাজ শুরু করে ২০১৭ সালে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করে সাত তালা আলিসান বাড়ি তৈরি করে। বাড়ির কাজ শেষ করার পর ২০১৮ সালে দুদুকের চোঁখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য বাড়ি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নেন।

ডেইজির ভাগ্যে সরকারি চাকরি যেনো আলাউদ্দিনের চেরাগ। যেখানে বাবার সম্পত্তি সব ভাই-বোন পাবার কথা থাকলেও নিজ ক্ষমতা বলে সু কৌশলে ভাইদেরেকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করছেন। কথায় কথায় বলতেন আমার স্বামী স্বর্ণের ব্যবসায়ী তার অনেক টাকা আছে। টাকার উৎস নিয়ে যাতে কেউ তাকে কিছু না বলে তাই এ প্রচার চালাতো।

এদিকে তিনি আদালতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন সেখানে অভিযোগ করেছেন দীর্ঘ ২২ বছরের অধিক সময় ধরে স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক নেই। স্বামীর কাছে ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকার অধিক দেনমোহন এবং ভরণ-পোষণের খরচ চেয়েছেন মামলার অভিযোগে।

ডেইজি আক্তারের দুই ছেলে মেয়ে কানাডার দুইটি নামি দামি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলে উত্তরায় একটি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে। তিন সন্তানের পেছনে মাসে চার লাখ টাকার বেশি খরচ করেন তিনি। যার বেশিরভাগ টাকা ডেইজি আক্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে উপার্জন করেন।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির টাকা ডেইজি আক্তার ক্যাশে নেন, কোন কোন সময় তার নিজ ব্যাক্তিগত একাউন্টেও নিয়ে থাকেন। যা তার ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে দুর্নীতির বিষয়টি সুস্পস্ট ভাবে ধরা পরবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

সামান্য সরকারী চাকুরি করে ডেইজি আক্তার ও তার সন্তানদের উচ্চ জীবন যাপন এবং সম্পদের পাহাড় গড়ার বিষয়ে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী ও সচেতনমহল ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইজি আক্তারের নিকট আত্মিয় জানান, ডেইজি একজন সুন্দরী নারী। এস এস সি পাশ করার পর মহাখালী আমতলি এলাকায় আইডিয়াল হোমিওতে রিসিপশনে চাকুরি করত। সেখানে জুয়েলারী ব্যবসায়ী এমরান চৌধুরির সাথে তার পরিচয় হয়। স্ত্রী সন্তান থাকার কথা জেনেও অর্থের লোভে ডেইজি এমরান চৌধুরির সাথে সম্পর্ক করে এবং ১৯৯৮ সালে ডেইজির ইচ্ছায় দুজনের বিবাহ হয়। এমরান চৌধুরী তার নিজ ফ্লাটে ডেইজিকে রাখেন। এমরান চৌধুরী ডেইজির চাহিদা মত সব ইচ্ছা পুরন করেন বলেও জানা যায়।

এব্যাপারে ডেইজি আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সবকিছু আদালতে বলবেন এবং সবকিছুর প্রমান তিনি আদালতে দিবেন।

সরকারী চাকুরী করে এত টাকা আয়ের উৎস কি জানতে চাইলে ডেইজি আক্তার গর্ব করে বলেন আরে ভাই আমি এ পর্যন্ত ৮০ ভরির বেশি স্বর্ণ বিক্রি করেছি। এত স্বর্ণ পেলেন কোথায় জানতে চাইলে বলেন সব তথ্য আপনাদেরকে দিতে বাধ্য নই আদালত চাইলে সব দিব।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট