1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পূর্বাভাসে শীত নিয়ে নতুন বার্তা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়াল ৪৪ হাজার ৮০০ ভোটাধিকার বঞ্চিত দেড় কোটি প্রবাসী, কার্যকর উপায় খুঁজছে সংস্কার কমিশন ভারতে পুলিশি পাহারায় ভাঙা হলো ১৮০ বছর পুরোনো মসজিদের একাংশ আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নিতে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র রুগ্ণ শিল্প

এবার হজযাত্রী জাহাজে করে পাঠানোর আলোচনা

মহানগর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৭৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জাহাজে করে সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এই জাহাজে করে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটক আনা–নেওয়া করছে  ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সমুদ্রপথে জাহাজ নামাতে চায় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে যেতে জাহাজে সময় লাগবে ১০ দিন। যাওয়া-আসা ও হজের আনুষ্ঠানিকতা মিলিয়ে একজন হজযাত্রীর মোট সময় লাগবে ৩৭ দিন। জাহাজে গেলে উড়োজাহাজের চেয়ে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ কম হবে।

সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে প্রতিষ্ঠানটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। গত ২৯ জানুয়ারি প্রস্তাবটি নিয়ে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়।

নৌপরিবহনসচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিয়ে পক্ষে–বিপক্ষে মতামত আসে। কেউ কেউ জাহাজে করে হজ করতে যাওয়াকে ইতিবাচক বলেছেন। নানামুখী চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। সমুদ্রপথে সৌদি আরব সরকার অনুমতি দেবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। দেশটি রাজি হলে তখন অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবে যেতেন হজযাত্রীরা। তখন জাহাজে করে যেতে–আসতে সময় লাগত তিন মাস। একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়।

মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার আশা

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স বলছে, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি লিমিটেডকে (আইআইএফসি) দিয়ে এ ব্যাপারে সমীক্ষা চালিয়েছে। আইআইএফসি জাহাজ চলাচলকে কার্যকর বলেছে।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা আশা করছেন, জাহাজ চালু হলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলবে। সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া গেলে আগামী হজ মৌসুম থেকেই তাঁরা জাহাজ চলাচল শুরু করতে চান।

প্রথমে তাঁরা চার হাজার ধারণক্ষমতার একটি জাহাজ কিনবেন। এতে খরচ পড়বে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা। হজ ছাড়া অন্য সময়ে জাহাজটি পর্যটকদের জন্য চালু থাকবে। সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাহাজটি চলাচল করবে। সাড়া মিললে পরে আরও বড় জাহাজ বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, হজযাত্রীদের উড়োজাহাজে করে যাতায়াতে প্রতিবছর খরচ বাড়ছে। এবার একজন হজযাত্রীর উড়োজাহাজে করে গেলে খরচ পড়বে সাড়ে ছয় লাখ টাকার ওপরে। জাহাজে করে গেলে খরচ এক থেকে দেড় লাখ টাকা কম হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, একমাত্র সুদানের মানুষ ২০১৮ সাল থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রা করছেন।

পক্ষে–বিপক্ষে মত

২৯ জানুয়ারি আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাজ চলাচলের পক্ষে মত দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, সমুদ্রপথে জাহাজ চললে কম খরচে হজ করা যাবে। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে খরচ পড়বে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফেরদৌস আলম প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজে করে হজ করতে যাওয়ার উদ্যোগটি ভালো। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি আরব সরকারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হবে।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজে হজযাত্রী পরিবহন করতে হলে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সংশোধন করতে হবে। তা ছাড়া জলপথে যাওয়া হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কোথায় হবে, সেটাও আলোচনার বিষয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবছর যে চুক্তি হয়, তাতে উড়োজাহাজের কথা উল্লেখ থাকে, জাহাজের কথা বলা থাকে না। তা ছাড়া সমুদ্রপথে সময় লাগবে বেশি। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব কে নেবে? তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যার কথা আমরা জানিয়েছি। সমুদ্রপথে হজযাত্রী নিতে চাইলে সৌদি আরব সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারা সম্মত কি না, সেটি জানতে হবে। তারপর অন্য প্রক্রিয়া করতে হবে।’

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট