1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

আবারো রডের দাম বাড়ায় রাজশাহীতে হুমকীর মুখে আবাসন নির্মাণ খাত

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৩১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ফের বেড়েছে নির্মাণশিল্পের অন্যতম উপকরণ রডের দাম। গত বছরের নভেম্বরের দিকে টন প্রতি রডের দাম কিছুটা কমলেও আবারো বেড়েছে। এতে রাজশাহীর আবাসন নির্মাণ খাত আবারো বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে। গত ২০১৯সাল থেকে রডর দাম কয়েক দফা বেড়ে এখন প্রতিটন প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ডেভেলপার ছাড়াও যারা বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করেছিলেন তাদের কপালে আবারো ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে সাধারণ পরিবার যারা জমানো ও ঋণের টাকায় ছোট আকারে বাড়ি করে মাথা গোজার ঠাঁই নির্মাণে চিন্তা ভাবনা করছিলেন তারাও আর সাধ্যের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করতে পারছেন না। শুধু রডই নয়, লোহার অ্যাঙ্গেল, গ্রিল, রেলিংয়ের দামও বাড়তির মুখে।

জানা গেছে, গত বছর শেষের দিকে কিছুদিন টনপ্রতি রডের দাম ছিল দুই তিন হাজার টাকা কম। চলতি বছর পড়ার পর আবার রডের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমান বাজারে এক টন ভালো মানের রডের দাম ৯৪ হাজার টাকার নিচে মিলছে না। তবে চাহিদা বেশি থাকায় বেশি বেড়েছে সাধারণ মানের রডের দাম। সাধারণ মানের রড ৭৮ থেকে ৭৯ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমান এর বাজার প্রতিটন ৮৩-৮৪ হাজার। অনেকেই মনে করেছিলেন চলতি বছরে আর রডের দাম বাড়বে না। এছাড়াও সরকার বড় বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখেছে। যার কারণে ডেভেলপারদের সাথে যারা ছোটখাটো বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা বছরের শুরুতেই কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ শুরু করার পর আর তারা সামনের দিকে এগুতে চাচ্ছেন না। কারণ রডের দাম হঠাৎ করেই টনপ্রতি প্রায় চার হাজার টাকা বেড়ে গেছে।

জানা গেছে, দুই বছরের ব্যবধানে রডের (প্রতি টন) দাম বেড়েছে ৩০ হাজার টাকা। ২০২০ সালে এক টন রোড ছিল ৬৪ হাজার টাকা, ২০২১ সালে ৬ হাজার টাকা বেড়ে ৭০ হাজার টাকা হয়েছিল। বিদায়ী ২০২২ সালে রডের দাম কয়েক ধাপে ২৪ হাজার টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার টাকায় ঠেকে। পরে কিছুটা কমে ভালো মানের রডের দাম ৯২ হাজার টাকায় নিমে আসে। দাম বেড়ে যায় সিমেন্ট, বালু, পাথর, ইট, থাই অ্যালুমিনিয়াম, গ্রিল ও রেলিং, জেনারেল ইলেকট্রিফিকেশন, স্যানিটেশন, টাইলস ও লেবার খরচ।

নির্মাণের উপকরণ রডের দাম বাড়ায় ব্যাপাপরে বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে করোনার কারণে পণ্য আমদানিতে অসুবিধা ছিল, সেসময় দাম বেড়েছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর দাম বাড়লো। এখন এলসির অজুহাতে আবারও দাম বাড়ানো হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরায়ও দাম বেড়েছে।

এদিকে, রাজশাহীতে ২০২১ সালে রডের দাম বাড়ায় ওই বছরের ডিসেম্বরে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের দাম প্রতি স্কয়ার ফুটে বাড়ায় রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন। পরে পরে ২০২২ সালের জানুয়ারীতে এই মূল্য কার্যকর হয়। যদিও লোকসান ঠেকাতে ডেভেলপাররা এই দাম বাড়ালেও মাঝখানে দুই দফায় আবারো রডের দাম বেড়েছে।

বর্তমান বাজার মূল্যে দুই হাজার ফুট কনস্ট্রাকশনের ক্ষেত্রে এর মধ্যে শুধু রডের দাম বাড়ার কারণে ফ্ল্যাটের প্রতি স্কয়ার ফুটে নির্মাণ খরচ বেড়েছে ১২০ টাকা। একইভাবে সিমেন্টের কারণে ৪৪ টাকা, বালুর কারণে ২৩ টাকা, ইটের কারণে ৪০ টাকা, পাথরের কারণে ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা, থাই অ্যালুমিনিয়ামের কারণে ৩৫ টাকা ও শ্রমিক খরচের কারণে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

শুধু রডই নয়, গ্রিল ও রেলিংয়ের দামও বেড়েছে ৫৫ টাকা পর্যন্ত। ২০২০ সালে গ্রিল ও রেলিং প্রতি স্কয়ার ফুটের দাম ছিল ১০৫ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ১২০ আর ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ টাকা। গ্রিল ও রেলিংয়ের দাম বাড়ার কারণে দুই হাজার ফুট কনস্ট্রাকশনে খরচ বেড়েছে সাড়ে ৭ টাকা।

অপর দিকে ভবন নির্মাণের উপকরণ ফলোবক্স ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা টনে বিক্রি হলেও বর্তমান ৪ হাজার টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। রাউন্ড পাইপের টনপ্রতি দাম পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টিউববার। চেকার প্লেট দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায়। দুই থেকে তিন হাজার টাকা বেড়ে এমএস প্লেট বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ২২ হাজার ৫শ’ টাকায়।

এব্যাপারে ডেভেলাপার প্রতিষ্ঠান আল আসকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজি বলেন, এই খাতে বিপুল পরিমান মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। রডের দাম বাড়ার কারণে যদি কাজ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানুষ বেকার হয়ে যাবে। বিষয়টি সরকারের দেখা দরকার।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট