দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এদিকে ক্রমাগতভাবে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের অনুভূতি।
সকাল সকাল সূর্য উঁকি দিলেও তাপমাত্রার পারদ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ ডিগ্রির ঘরে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ করা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সূর্যের মুখ দেখা মিলেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সপ্তাহজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর এ জেলায় গত দু-দিন ধরে কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে কুয়াশার পরিমাণ কমে আসলেও অব্যাহত রয়েছে পাহাড়ি হিমেল বাতাসের সঙ্গে শীত। এতে করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত দুর্ভোগে পড়ছে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
শহরের পৌর এলাকার লিচুতলা এলাকার রাশেদুজ্জামান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটু বেশি শীত নেমেছিল। তবে দু-দিন ধরে তা কিছুটা কমেছে। দিনে একটা গরম অনুভূত হলেও শরীরে গরম কাপড় রাখতে হচ্ছে। তবে সন্ধ্যা পর থেকে সকাল পর্যন্ত বাতাসের সঙ্গে ঠান্ডা একটু বেশি।
একই কথা জানান রনি ইমলাম। তিনি বলেন, তাপমাত্রার এমন উঠানামা খেলায় নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশাপাশি সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
ময়মনসিংহ থেকে পঞ্চগড়ে আসা বৃদ্ধ জাবেদ আলী বলেন, আমরা ভোরে পঞ্চগড়ে নেমেছি। তবে ময়মনসিংহের থেকে পঞ্চগড়ে শীত একটু বেশি লাগছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, টানা ৭দিন জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও দুদিনে তা বেড়ে রোববার ভোর সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তবে ৭ দিন ধরে ৯ থেকে ১০ ডিগ্রিতে উঠানামা করলেও গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
Leave a Reply