দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত বর্তমান জনবলের পাশাপাশি হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত ১০০ জন ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬০ জন সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ৫৪ জন ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬০ আনসার সদস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সিকিউরিটি পাশের অপব্যবহার রোধ, সব সিসিটিভি ক্যামেরা সচল রেখে ফুটেজ যথাযথভাবে রেকর্ড করাসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বেবিচক সূত্র জানায়, ৩০ নভেম্বর বিমান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে এক সভায় বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এরপর ৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহম্মেদ জামিলের সই করা এক চিঠিতে নিরাপত্তা জোরদারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোসহ ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত রয়েছেন বেবিচকের নিজস্ব ৫৭৪ নিরাপত্তাকর্মী। এছাড়া ১০৮৫ জন এপিবিএন সদস্য, ৯০২ জন আনসার সদস্যও নিয়োজিত আছেন। ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে বিমানবাহিনী ও জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংযুক্ত পুলিশ ও আনসারের আরও ২৮৩ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এর বাইরে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বর্তমানে ২৪টি সংস্থা কাজ করছে। তাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে আসা যানবাহন, যাত্রীদের সঙ্গে থাকা সরঞ্জাম বা ব্যাগ থেকেও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব পালনের সময় আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply