1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন

বেড়েছে চাল-চিনির দাম, কমেছে ডিম-মুরগির

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৫০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বেড়েছে চাল, চিনি ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের নিচে কোনো সবজি কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।

দাম বাড়া ও কমার মধ্যে থাকছে মুরগি। শুধু কমেছে ডিমের দাম। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর ও কালশী বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বাজারে ২৮ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। পাইজাম চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকায়। নাজিরশাল চালের কেজি ৬৮ টাকা, আগে বিক্রি হত ৬৫ টাকায়। ভালো মানের নাজিরশাল চালের কেজি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। পোলাওয়ের চালের কেজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে।

১১ নম্বর বাজারের চাল বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। বাজারে নতুন চাল এলে আবারও দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

শীতের ভরা মৌসুমে সবজির দাম তেমন কমেনি। এখনও বাজারে পেঁপে ছাড়া কোনো সবজি ৬০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না।

সবজির মধ্যে লাউ বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৫০-৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০, গোল বেগুন ১২০, ভারতীয় টমেটো ১৬০, করলা ৬০, চাল কুমড়া ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৪০, মুলা ৬০, বরবটি ৮০, শিম ৬০ টাকা, গাজর ১২০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা। এছাড়া ফুলকপি প্রতিটি ৫০ ও বাঁধাকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবু ২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। তবে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো আছে। একটু দাম কমেছে। অবরোধ-হরতাল থাকলে সবজির সরবরাহ কমে যায়, তখন দাম বাড়ে।

এসব বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৭০-৭৫ টাকা। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ভারতীয় কেরেলার আদার কেজি ১৮০-২০০ টাকা। চায়না রসুনের কেজি ১৮০-২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, সরকার ভারতীয় আলু আমদানির পরে একদিন দাম কম ছিল। পরের দিন থেকে আবারও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হতে শুরু করেছে।

এই বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকা কেজি, যা আগে কেজি ছিল ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩১০ টাকা।

বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, বাজারে মুরগির দাম বাড়া-কমার মধ্যেই আছে। এই সপ্তাহের সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে মুরগির দাম একটু কম।

বাজারে গরুর মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, যা আগে কেজি ছিল ১৩৫-১৪০ টাকা।

কালশী বাজারের চিনি বিক্রেতা মো. নাজিম বলেন, আমরা যেই দামে চিনি কিনে আনছি সেই দামে বিক্রি করছি। বাজারে চিনির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। কিন্তু পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।

বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে কমেছে ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা। আর এখন পাড়া-মহল্লার দোকানে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়।

হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, আগে ছিল ৭৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০ টাকা।

কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। হাঁসের ডিম আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট