পেটের দায় মানেনা কোনো বাধা। তাই চলমান অবরোধ উপেক্ষা করেই বের হয়েছেন রাজধানীর কর্মজীবীরা। স্বাভাবিক দিনের মতোই চলছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আজিমপুর, মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ, শ্যামলী, কল্যাণপুর এলাকাতেও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন বাড়ার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন সিগন্যালে গণপরিবহন দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে।
রাজধানীর গাবতলীর দিক থেকে বৈশাখী বাসে চড়ে গুলশানের অফিসে এসেছেন বেসরকারি চকরিজীবী তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ সকালে অফিসে আসার সময় অবরোধের অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে গাড়ি, গণপরিবহন এবং মানুষের সংখ্যা বেশি দেখেছি। সকালে অফিস টাইম হওয়ার কারণে পুরো রাস্তাতেই অফিসগামী মানুষরা বাসে উঠার অপেক্ষায় ছিল। তবে অবরোধের প্রথম দিকে এতটা যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। অল্প কিছু যানবাহন চলতো। কিন্তু আজ দেখলাম ভিন্ন চিত্র।
উত্তরা থেকে সদরঘাটে চলাচল করা ভিক্টর বাসের চালক লাল মিয়ার সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর শান্তিনগরে। তিনি বলেন, অবরোধের প্রথম দিকে ভয়ে গাড়ির মালিকরা গাড়ি সড়কে বের করেনি। কিন্তু আমাদেরও তো পেট আছে, গাড়ি বন্ধ থাকলে ইনকাম, জীবিকা বন্ধ থাকে আমাদের। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি বের করেছি, অন্যরাও বের করে চলাচল করছে। প্রথম দিকে অল্প কিছু চালকরা গাড়ি বের করলেও তেমন যাত্রী পেত না। তবে আজ সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, একইভাবে অফিস টাইম হওয়ায় প্রতিটি স্টপেজেই ভালো পরিমাণ যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী মোড়ে কথা হয় রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালানো খোরশেদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ সড়কে যানবাহন অনেক বেশি। যেহেতু এখন অফিস টাইম তাই মানুষও বেড়েছে প্রতিটি সড়কে। অবরোধের অন্যদিন বাসের সংখ্যা কম থাকায় মানুষ রাইড শেয়ারিং বাইকে বেশি চলাচল করেছে।
মহাখালী এলাকায় দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মাহাফুজুর রহমান বলেন, আজ সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন, যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যাও বেশি দেখা যাচ্ছে।
Leave a Reply