রাজশাহীর বাগমারায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ৭টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত (২০০৯) আইনে মোবাইল কোট পরিচালনায় এসব অবৈধ ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৫টি ইট ভাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান। এ অভিযান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার দিন ব্যাপী উপজেলার গোবিন্দপাড়া, নরদাশ ও দ্বীপপুর ইউনিয়নের ৭টি অবৈধ ইট ভাটার ইট পুড়ানোর চুলি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৭টি ইট ভাটার মধ্যে গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের খোরশেদ আলম, আফছার আলী ও জামাল উদ্দিন, নরদাশ ইউনিয়নের মঞ্জুর রহমান, জাহিদ হাসান ও আবুল কাশেম এবং দ্বীপপুর ইউনিয়নের তোতার অবৈধ ড্রাম চিমনী ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালিত হয়। অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব ইট ভাটা পানি দিয়ে আগুন নিভে দেয়া হয়। এছাড়া ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। একই ভাবে কাঁচা তৈরি ইট নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের ওই অভিযানে ৭টি ভাটার মধ্যে ৫টি ভাটার ৫০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। বাকি দুইটি ভাটায় অভিযানের সময় ভাটায় কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অবৈধ ওই ভাটার স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাগমারায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় ইট পোড়ানোয় পরিবেশের ক্ষতি করায় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিগত দিনে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী। এই ধারাবাহিকতায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় অভিযান পরিচালিত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,এফ,এম আবু সুফিয়ান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। একই সাথে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটার বিরুদ্ধে আদালতে রিট আবেদনের ভিত্তিতে অভিযান চলমান পরিচালিত হয়েছে। তবে রিট আবেদনের আগেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে অভিযান চালানো হয়েছে।
Leave a Reply