হঠাৎ করেই একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়ার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বাজারে। এ তালিকায় কখনো মুরগী, কখনো সবজি, কখনো মসলা যুক্ত হচ্ছে।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ডিম।
রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজার, নিকেতন বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ডিমের দামের অস্থিরতা চোখে পড়েছে। খুচরো বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালি দরে। অর্থাৎ, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও যেখানে ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা দরে।
খুচরো বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। বাজার তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টেও অস্থির হয়ে উঠেছিল ডিমের বাজার। সে সময় ১৮০ টাকা পার হয়েছিল এক ডজন লাল ডিমের দাম।
কেন ডিমের দাম বাড়তি এমন প্রশ্নের জবাবে মহাখালী কাঁচা বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বেশি৷ ফলে, পাইকারি বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনছি, বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
একই কথা বললেন নিকেতন এলাকার অপর ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে ১২ টাকা দরে প্রতিটি ডিম কিনছি। এখন স্বাভাবিকভাবেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে ডিমের দাম।
একাধিক ক্রেতা অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ডিমের বাজারে অস্থিরতার জন্য সিন্ডিকেটই দায়ী। নিকেতন বাজারে ক্রেতা রায়হানুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের হোতা কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানির সঙ্গে খামারিরা মিলে যোগসাজশ করেই উৎপাদক পর্যায়ে ডিমের দাম বাড়িয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে খুচরো আর পাইকারি বাজারেও।
এদিকে, ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মধ্য রাতেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাতে দেখা গেছে তাদের। এ নিয়ে আগামীকাল (১৪ আগস্ট) সকালে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট), এজেন্ট/ডিলার ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply