ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই থেমে-থেমে হচ্ছিল বৃষ্টি। তবে দুপুর থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি।
মুষলধারে বৃষ্টি থামে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায়। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায়।শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানী মিরপুর-১ নাম্বার মাজার রোড, শিয়ালবাড়ি মোড়, মিরপুর-৬ নাম্বার, মিরপুর অরজিনাল-১০ নম্বর ও কালশী রোড ২২ তলা স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস থেকে সাংবাদিক আবাসিক এলাকার মোড়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ সময় দেখা যায় এসব এলাকার কিছু স্থানে জমেছে কোমর পানি।প্রধান সড়কের কিছু স্থানে জমেছে হাঁটু পানি। এ পানি পার হতে অনেককে যেতে হচ্ছে রিকশায় করে বা ময়লা পানি পাড়িয়ে যেতে হচ্ছে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
শিয়ালবাড়ি মোড় এলাকার পথচারী ফরহাদ বলেন, এখানে এক-দেড়ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এখান থেকে পায়ে হেঁটে আর যাতায়াত করা যায় না। তখন রিকশায় নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হয়। নয়তো পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হয়। রাজধানীর অনেক জায়গায় সংস্কার হলেও এখানকার জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না কিছুতেই।
অরজিনাল-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকার চটপটি বিক্রেতা মো. সুজন বলেন, সারাদিনের পর বিকেল চারটার দিকে দোকান নিয়ে এসেছি। এসে দেখি রাস্তায় জমেছে পানি। বৃষ্টি হয়েছে আজকে তেমন বেচাকেনা হবে না আবার জমেছে পানি।
কালশী রোড এলাকার বাসিন্দা মো. জসিম বাংলানিউজকে বলেন, কালশী রোডে বৃষ্টি হলে পানি জমে ঠিক আছে কিন্তু এ পানিটা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না খুব দ্রুতই নেমে যায়। পানি নেমে যাওয়ার যে পাইপগুলো আছে সেগুলো জ্যাম হয়ে গেছে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায়। পানি নিষ্কাশনের এ পাইপগুলো যদি পরিষ্কার করা যেত তাহলে জলাবদ্ধতা হতো না।
Leave a Reply