ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এতে করে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয় ও মধ্যবর্তী শ্রেণীর মানুষদের।
সংসারের খরচ যোগাতে গিয়ে কুলাতে পারছেনা অনেক পরিবার। ফলে বাজারে গিয়ে পর্যাপ্ত তরিতরকারি কিনতে না পারায় হতাশ হয়ে ফিরছে বাসায়। অনেকের মাসিক যে আয় তা দিয়ে না চলতে পারায় দোকানে বাকি করে মাস চালাতে হচ্ছে।
গত কয়েকদিনে হঠাৎ করেই দেশে চিনি ও তেলের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে বেড়েছে আলুসহ প্রায় সবধরনের সবজির দাম।
শুক্রবার সাপ্তাহিত ছুটির দিনে মহানগরীর সাহেব বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে ২০ টাকার আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মানভেদে কাচামরিচ কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা, ঝিঙা, দেশি শসা ৮০ টাকা, পেপে ৬০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একেকটি লাউ।
এদিকে দেশি আদা ৩২০, হাইব্রিড আদা ২৪০, দেশি রসুন ১৮০, আমদানি করা রসুন ২০০ এবং পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ দিনে ৫০০ টাকা আয় করলে খরচ হচ্ছে হাজার টাকা। ফলে আমরা এই সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছিনা।
ক্রেতারা জানান, দেশে হঠাৎ করেই লাগামহীন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা সরকার। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করে সরকারের প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাজার দর নিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি কমের কারনে দাম বেশি। তবে বর্ষার কারণে এই সময়ে কিছু সবজির দাম বেশী হয় কিন্তু প্রায় সবধরনের সবজির দাম বেশী কেনো তা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন তারা।
Leave a Reply