বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মাহফুজ, খাইরুল, বাপ্পিদের দশজনের একটি দল। তারা রাতভর নগরের বিভিন্ন বিপণি বিতান ঘুরে কেনাকাটা শেষে সেহেরি করেই ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন।
ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে নগরের বিপণি বিতানগুলোত দেখা মিলে এমন অনেকের।
একদিকে দল বেঁধে কেনাকাটা শেষে একযোগে সেহেরি, তারপর ঘরে ফেরা।
তরুণদের মধ্যে এই বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দিনে দিনে।
চট্টগ্রামে এখন তাপমাত্রা গড়ে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রোজা রেখে তপ্ত রোদে কেনাকাটা করতে কষ্ট বলে অনেকেই রাতকে বেছে নিয়েছেন। তাই রাতে নগরের শপিং মলেগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দিনে তেমন ক্রেতাদের ভিড় থাকে না। বিক্রিও তেমন হয় না। ইফতারের পর থেকে দল বেঁধে কেনাকাটা করতে আসেন৷ তখন বিক্রি ভালো হয়। সেহেরির পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন আভিজাত বিপণি বিতান ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের পর থেকে সেহেরির আগ পর্যন্ত নগরের টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, ভিআইপি টাওয়ার, আমিন সেন্টার, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, স্যানমার ওসান সিটি, শপিং কমপ্লেক্স, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা ও মিমি সুপার মার্কেটে বিভিন্ন কাপড়ের শো-রুমে দল বেঁধে কেনাকাটা করছেন তরুণ-তরুণীরা।
সেখানে কেউ এসেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেশিরভাগই বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে কেনাকাটা করতে এসেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ আকরাম বাপ্পি বলেন, ঈদের সময় আর বেশি নেই। ক্যাম্পাসের ছোট ভাইগুলোও বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাই একেকদিন একেক দল নিয়ে কেনাকাটা করতে আসি রাতভর ঘুরে একেবারে সেহেরি শেষ করে সবাইকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরি।
নগরের মুরাদপুর এলাকা থেকে দল বেঁধে সানমার ওশান সিটিতে কেনাকাটা করতে আসা মাহির মোহাম্মদ মাহফুজ বলেন, দিনে প্রচন্ড গরম। রোজা রেখে একদম বের হতে ইচ্ছে করে না। তাই সবাইকে নিয়ে রাতে বের হয়েছি। কেনাকাটা শেষ করে সেহেরি শেষ করেই ঘরে ফিরবো।
রাত ২টার পর থেকে নগরের নিউমার্কেট এলাকার হোটেলগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভিড় থাকে। অনেক হোটেলে বসার জায়গা না পেয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন।
নিউমার্কেটের নিজাম হোটেলের ম্যানেজার আব্দুর রশীদ বলেন, কেনাকাটা শেষ করে সবাই সেহেরি খেতে আসেন। তখন মানুষের ব্যাপক ভিড় থাকে। তারপরেও আমাদের চেষ্টা থাকে সবাইকে একযোগে খাবার পরিবেশ করা। এরপরেও জায়গা না পেয়ে অনেকে অপেক্ষা করেন।
Leave a Reply