রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি থেকে ভদ্রা স্মৃতি অম্লান মোড় হয়ে রেশম উন্নয়ন বোর্ড এর সামনে পর্যন্ত সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। ২.১ কিলোমিটার সড়কটিতে বসানো হয়েছে ১১০টি অত্যাধুনিক সড়কবাতির পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ১৩টি আধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভদ্রা স্মৃতি অম্লান মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কটির আলোকায়নের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধনের পর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
উদ্বোধনকালে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীর বিভিন্ন সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকায়নের ধারাবাহিকতায় তালাইমারি থেকে ভদ্রা মোড় পর্যন্ত সড়ক আলোকায়ন করা হলো। ভদ্রা থেকে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত সড়কেও দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতির পোল স্থাপন করা হয়েছে। আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে এটিও উদ্বোধন করা হবে। বিভিন্ন সড়ক আলোকায়নে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অনেক রাত পর্যন্ত নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলা করতে পারছেন।
উদ্বোধনকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ ও পানি স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আকতারুজ্জামান, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ারুল আমিন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা টিটো, রাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এবিএম আসাদুজ্জামান সুইট, সহকারী প্রকৌশলী এনজামুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল আবেদীন, আসাদুল ইসলাম সুমন, তানভীর হাসান সজিব, কামাল পারভেজ, পূজন দাস, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নগরীর বিভিন্ন সড়ক দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি দিয়ে আলোকায়ন করা হয়। তালাইমারি মোড় থেকে আলুপট্টি পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার সড়ক ১৩০টি আধুনিক সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। এখানে প্রতিটি পোলের মাথায় লাগানো হয়েছে ১৩টি আধুনিক লাইট। এছাড়া সড়ক সংলগ্ন বাঁধে স্থাপন করা হয়েছে ১৮০টি আধুনিক সুদৃশ্য গার্ডেন লাইটের পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ৫টি অত্যাধুনিক লাইট।
বিলসিমলা রেল ক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত ৪.২ কিলোমিটার সড়ক দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতি সড়কবাতিতে আলোকায়ন করা হয়েছে। সড়কটিতে ১৭৪টি খুঁটির প্রতিটিতে দুইটি করে মোট ৩৪৮টি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে।
মহানগরীর বিমান চত্বর হতে বিহাস পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭৯৩ কিলোমিটার ৪ লেন সংযোগ সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিতে আলোকিত করা হয়েছে। সড়কটিতে ২৮৫টি ডেকোরেটিভ পোলে বসানো হয়েছে ৫৩০টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্ব।
নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল মোড় থেকে ভদ্রা মোড় রেলক্রসিং পর্যন্ত ফোরলেন সড়কে ৪ দশমিক ১৭ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডে ১৬৫টি দৃষ্টিনন্দন পোল বসানো হয়েছে। প্রতিটি পোলে ২টি করে মোট ৩৩০টি অত্যাধুনিক এলইডি বাল্ব লাগানো হয়েছে।
মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড় হতে কোর্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে বাসানো হয়েছে ১৩০টি দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতির পোল। প্রতিটি পোলে রয়েছে ১৩টি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অত্যাধুনিক এলইডি বাতি। এছাড়া উপশহর মোড় থেকে দড়িখরবোনা, কাদিরগঞ্জ, মহিলা কলেজ, মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি হয়ে সোনাদীঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় থেকে রানীবাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে মোট ৯৬টি ডেকোরেটিভ পোলে ৯৬টি দৃষ্টিনন্দন এলইডি সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি বড়কুঠি হতে পঞ্চবটি শ্মশান ঘাট পর্যন্ত পদ্মাপাড়ের ওয়াকওয়ে আলোকায়ন করা হয়েছে।অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে ও নিভে।
Leave a Reply