পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ যাচ্ছে যশোরে। এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল।
রেলপথটি ঢাকার কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং নড়াইলের ওপর দিয়ে যশোর গিয়ে শেষ হবে।
প্রথম সেকশন কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত হবে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন। দ্বিতীয় সেকশন হবে গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া, ৩৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন। এই সেকশনে থাকবে ৪টি স্টেশন।
তৃতীয় সেকশন মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশন, ৪২ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ব্রডগেজ। এই সেকশনে মধ্যে স্টেশন থাকবে ৫টি।
চতুর্থ সেকশন ভাঙ্গা থেকে রূপদিয়া, ৮৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন। এই অংশে স্টেশন থাকছে ১০টি।
১৭২ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকবে ২০টি। যার মধ্যে ১৪টি নতুন নির্মাণ হবে। এগুলো হচ্ছে কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া, জাজিরা, শিবচর, ভাঙ্গা, নাগরকান্দা, মোকসেদপুর, মহেশপুর, লোহাগড়া, নড়াইল, পদ্মবিলা এবং জামদিয়া। বাকি ৬টি স্টেশন পুনর্বিন্যাস করা হবে।
এই রেলপথের মধ্যে ঢাকা-মাওয়া অংশে প্রায় ২৩ কিলোমিটার এলিভেটেড। মাটি থেকে ১১ মিটার উঁচু দিয়ে রেল লাইন নির্মাণ হবে। এই অংশে স্টেশন থাকবে দুটি। নির্মাণ করা হবে ৪৩ কিলোমিটার লুপ। থাকবে একটি মেইন লাইন, স্থাপন করা হবে লিফট। পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৬৬টি বড় ব্রিজ এবং ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭৪টি ব্রিজ-কালভার্ট। ৩০টি লেভেল ক্রসিং এবং ১৩১টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথে আগামী জুনে ট্রায়াল রান শুরু হবে। আগস্ট নাগাদ এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা যাবে। আর যশোর পর্যন্ত রেলপথ বসানোর কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন ঋণ হিসেবে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দিয়েছে। বাকিটা সরকারি অর্থায়ন। ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ শুরু করে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই। ২০২৪ সালের জুন মাসে এই প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার কথা।
Leave a Reply