২০১৩ সালে রাজধানীর শাহ আলী থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন কবিরকে (৪৪) নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া ওরফে সুহাসিনী ওরফে অধরাকে (২৯) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, দুটি মোবাইল ফোন ও পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশে তৈরি করা একটি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাকে শ্বাসরোধ ও বিষক্রিয়া ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতার অধরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে এএসআই হুমায়ুন হত্যাকাণ্ডের পর অধরা পালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকায় একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির সেলস ম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
তিনি ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে সুকৌশলে সুহাসিনী অধরা নামে পরিবর্তন করে। পরে ওই নামেই নিজেকে বিখ্যাত মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারে বসবাস করে আসছিলেন।
তার নামে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক।
Leave a Reply