কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার কথা থাকলেও উড়তে পারেনি বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইটটি। উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে হঠাৎ প্লেনের ইমার্জেন্সি দরজা খোলা থাকার অ্যালার্ম বেজে যাওয়ায় ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পরিকল্পনা বদলে ফেলেন পাইলট।
বুধবার রাতে বাংলাদেশের সরকারি উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৯৬ নম্বর ফ্লাইটে ঘটেছে এ ঘটনা। ফ্লাইটটি কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, বিজি-৩৯৬ ফ্লাইটটি বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে একঘন্টা দেরিতে, অর্থাৎ ১০ টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি ঠিকমতোই টার্মিনাল ভবন থেকে রানওয়ের দিকে গিয়েছিল; কিন্তু উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে বেজে ওঠে বিমানের অ্যালার্ম। পরে ক্রু ও পাইলটরা দেখতে পান এটি ইমার্জেন্সি এক্সিটের (প্লেন থেকে বের হওয়ার জরুরি নির্গমন পথ) অ্যালার্ম।
অ্যালার্ম বেজে ওঠার পর রানওয়েতে থাকা অবস্থায়ই উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পাইলট। ধীরে ধীরে রানওয়ে থেকে সরে এয়ারক্রাফটকে টার্মিনালের দিকে নিয়ে যান।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এয়ারক্রাফটের ইমার্জেন্সি এক্সিট আসলেই খোলা ছিল নাকি এটা ফলস অ্যালার্ম ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পাইলট এবং বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও কলকাতা বিমানবন্দরের স্টেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাদের কেউই সাড়া দেননি।
ফ্লাইটটিতে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন নাট্যকর্মী ও নির্মাতা আবু সুফিয়ান বিপ্লব। ফ্লাইটের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘অবশেষে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-৩৯৬ প্রায় ৪ ঘন্টা পর ঢাকায় পৌছালাম।
পাইলটের সতর্কতা ও আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় বেঁচে গেলাম আমারা। ফ্লাইট যখন টেকঅফ করবে তখনই, পাইলট দেখতে পান ইমার্জেন্সি ডোরে কোন সমস্যা, পাইলট আবার ফিরে যান টার্মিনালে। প্রায় তিন ঘন্টা ইন্জিনিয়ার চেক করার পর, ঢাকায় আসলাম। আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া।’
এদিকে বুধবার মধ্যরাত ৪ টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি মেরামতের পর কলকাতা থেকে উড্ডয়ন করে রাত দেড়টায় ঢাকায় অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে রয়েছেন।
Leave a Reply