1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

চার দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণকাজ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে জামালদী খালে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ চলছে ধীরগতিতে। চার দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারীরা।

জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ও হোসেন্দী দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২৯টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন জামালদী থেকে গজারিয়া সংযোগ সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদর এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এ ছাড়াও হোসেন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা দেশের স্বনামধন্য বেশ কিছু শিল্পকারখানার পণ্যবাহী পরিবহন সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।

ব্যস্ততম এ সড়কের স্কয়ার কোম্পানির সামনের পুরাতন বেইলি ব্রিজ ভেঙে সেখানে নতুন আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ গ্রহণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। তবে সেতু নির্মাণের নির্দিষ্ট সময় অনেক আগে পেরিয়ে গেলেও চার দফা সময় বাড়িয়ে এখনো শেষ হয়নি ওই সেতুর নির্মাণকাজ। এতে ক্ষুব্ধ এ সড়কে চলাচলরত পরিবহন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা।

গজারিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জামালদী খালের ওপর প্রায় ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট একটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য দায়িত্ব পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর জান্নাত কন্সট্রাকশন লিমিটেড। ২০২২ সালে জুনে ব্রিজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণকাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস। পরে সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন এবং আগস্ট, এরপরে সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। আবারও বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে বিকল্প কাঁচা রাস্তাটি বেহাল হয়ে পরেছে। বিভিন্ন অংশে খানাখন্দে দুটি পণ্যবাহী গাড়ি একসঙ্গে চলতে পারে না। যানজটে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থাকতে হয় চালকদের। পাশাপাশি সড়কের ধুলায় নাক-মুখ চেপে ধরে বাধ্য হয়েই ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।

অপরদিকে দেখা গেছে, ব্রিজের দুই পাশের গার্ডওয়াল ও মেঝের পাটাতন ইতোমধ্যে নির্মাণ শেষ হয়েছে। বাকি আছে ব্রিজের মাঝখানের পাটাতন ও দুই পাশের রেলিং। কয়েকজন শ্রমিক ব্রিজের ওপর বিমে লোহার রড বাঁধাইয়ের কাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের কাজ যে গতিতে চলছে, তাতে শেষ হতে আরও এক বছর লাগবে। ব্রিজটির নির্মাণ শুরুর বছরখানেক কাজ করার পর ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যায়। পরে জনদুর্ভোগ নিরসনে বন্ধ কাজ চালু করার দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা মহাসড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করলে গজারিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। প্রায় আড়াই বছরে ব্রিজের দুই পাশের পাটাতন ও গার্ডওয়াল ছাড়া আর কোনো কাজ হয়নি। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সঙ্গে যোগসাজেশ থাকায় ঠিকাদার নির্মাণকাজে গাফিলতি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা একটাই দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ করার যাতে ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে কথা বলতে মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, এই ব্রিজের নির্মাণকাজ ধীরগতিতে চলায় স্থানীয় ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে আছে। যাতায়াতকারীরা প্রতিনিয়তই আমাদেরকে বলছেন। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি।

এ ব্যাপারে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামিউল আরেফিন বলেন, সেতুটির কাজ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আমি এ বছর মার্চ মাসে এই উপজেলায় প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছি। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেতুটির নির্মাণকাজ করতে বিলম্ব হয়। সেতুর ওপরে দুই পাশে ইতোমধ্যে ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে, মাঝের অংশে ঢালাইকাজের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে সময় বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হয়তো আগেই এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়ে যেত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট