সড়কে শৃঙ্খলা আর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অন্যতম শহর হতে পারে রাজধানী ঢাকা। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শহরের সার্বিক চিত্র পর্যালোচনা করলে এমনটি মনে হতে পারে যে কারও মনে। আজব এ শহরে দৈনন্দিন কাজে বাসা থেকে বের হতে হয় প্রায় সবাইকে। অথচ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকার অভিজ্ঞতা হয়নি— এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজধানী হওয়ায় ব্যস্ততা থাকবে, তাই বলে সড়কে সড়কে অরাজকতা; বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানজট নিরসনে পতিত সরকার যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সেগুলো কোনো কাজে আসেনি। এ ছাড়া ফ্লাইওভার দিয়ে ঢাকা শহর ঢেকে ফেলার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে, উল্টো সেগুলো ঢাকার যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত কয়েকদিন সরেজমিনে রাজধানীর কুড়িল থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কে চলাচল করে দেখা গেছে, সকাল ৮টা থেকে এ সড়কে শুরু হয় অসহনীয় যানজট। যা চলে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত। সড়কটিতে চলাচল করা যানবাহনগুলো কোনো ধরনের আইন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অবৈধ পার্কিং।
গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত স্থানে যাত্রী ওঠা-নামা না করিয়ে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে কাজটি করছে। এ অবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসলেও গত এক থেকে দেড় মাসে তা আরও বেড়েছে।
যেসব কারণে যানজট
* কুড়িল থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর সংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে। এসব রিকশা চালককে সড়কের কোনো নিয়ম মানতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে দ্রুতগতিতে উল্টোপথে চলাচল করতেও দেখা যায়। ফলে সড়কের যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে এবং ঘটছে দুর্ঘটনা।
* প্রায় সব লেনে অধিক সংখ্যক রিকশা চলাচলের কারণে সড়কের স্বাভাবিক গতি কমে যাচ্ছে। ফলে অন্য যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। দেখা যায় সড়কে ধীরগতি।
* কুড়িল থেকে পল্টন পর্যন্ত সড়কের ওপর কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি অস্থায়ী মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্ট্যান্ড থেকে মোটরসাইকেলের চালকরা চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের যাত্রী ওঠান। প্রতি স্ট্যান্ডে সবসময় ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। আগে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকটাই নীরব তারা।
* নদ্দা থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই পাশে মেট্রোরেলের (এমআরটি-১) কাজের জন্য কাটা রয়েছে রাস্তা। ফলে সড়কে তৈরি হয়েছে ধীরগতি। এ ছাড়া দূরপাল্লার কিছু বাস চলাচলের কারণেও সড়কের ওপর চাপ বাড়ছে।
অতিরিক্ত হারে বেড়েছে ছোট যানবাহন
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় গিয়ে প্রতিদিন অফিস করেন মো. মঞ্জু হোসেন। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে বাসা থেকে অফিসে যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। আর অফিস থেকে বাসায় আসতে লাগে দুই ঘণ্টারও বেশি সময়। টানা পাঁচ বছর ধরে বাড্ডা থেকে গিয়ে অফিস করছি বিজয়নগর। কিন্তু এমন যানজট আগে কখনও দেখিনি। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায় না, কিছু কিছু মোড়ে দেখা গেলেও কাজ তারা করেন না। এ অবস্থা গত কয়েক মাস ধরে চলছে কিন্তু দেখার কেউ নাই।
ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক মো. মফিজ বলেন, ‘গাড়ি টান দেওয়া যায় না রিকশার জ্বালায়। এত রিকশা যে হঠাৎ কোথা থেকে এসেছে বুঝতে পারছি না। কেউ সিগন্যাল মানে না, ডানে-বামে উল্টো দিকে যে যেভাবে পারছে গাড়ি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ কিছুই বলছে না। এ অবস্থা তো আগে কখনও দেখিনি। প্রায় সব সড়কেই একই অবস্থা।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিআরটিএ ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় বর্তমানে বৈধ প্যাডেল রিকশা রয়েছে প্রায় চার লাখের মতো। এ ছাড়া অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা পাঁচ লাখ ও এক লাখ অবৈধ ইজিবাইক রয়েছে। এক লাখ ৩৪ হাজার অ্যাপসভিত্তিক যানবাহন ও ১২ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ২৫ লাখ যানবাহন। বিশাল সংখ্যার এ যানবাহনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্য রয়েছেন মাত্র চার হাজার।
আইন প্রয়োগ করতে গেলে তেড়ে আসেন যাত্রী-চালকেরা
একাধিক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সড়কে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে আগের মতো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না পুলিশ সদস্যরা। মানুষ তাদের কথা শোনেন না, সড়কে কেউ সিগন্যাল মানতে চান না। যেখানে-সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে তেড়ে আসেন চালক ও যাত্রীরা।
শেওড়াপাড়া এলাকায় দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, উল্টো দিক দিয়ে একটা ব্যাটারিচালিত রিকশা আসছিল। আমি রিকশা আটকে বলি, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিতে রিকশা চালাচ্ছেন, তার ওপর আবার উল্টো দিক দিয়ে; এখন আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি শুনে যাত্রী ও চালক দুজনেই আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় ওঠেন। উল্টো আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। একপর্যায়ে চালক ও যাত্রী দুজনই রিকশা থেকে নেমে তেড়ে আসেন আমার দিকে। সেখানে একা থাকায় আমি তাদের সঙ্গে আর কোনো তর্ক করিনি। তবে, রিকশাও যেতে দিইনি। পরে চালক রিকশা ঘুরিয়ে সঠিক লেন দিয়ে চলে যায়। মানুষ যদি এভাবে আমাদের অসহযোগিতা করে তাহলে আমরা কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনব?
পঙ্গপালের মতো চলাচল করে মোটরসাইকেল-রিকশা
বর্তমান সময়ে ঢাকার সড়কে কয়েক লাখ মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। হঠাৎ সড়কের দিকে তাকালে মনে হবে পঙ্গপালের ঝাঁক যাচ্ছে। এ দুটি বাহনের চালকেরা ট্রাফিক আইনের ন্যূনতম বিষয়গুলোও মানেন না। অধিকাংশ মোটরসাইকেলের চালক চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারিং করেন। এসব মোটরসাইকেলের চালকেরা বেপরোয়াভাবে চলাচল করেন।
অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেলের চালকদের বেপরোয়া ভাব আরও বেড়েছে। বেশি টাকা আয়ের আশায় যাত্রীকে দ্রুত সময়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে ফুটপাতে উঠে যাওয়া থেকে শুরু করে উল্টো পথেও চলাচল করছেন তারা। আর সুযোগ পেলেই তারা ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সড়কে বেড়েছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল। দেখে মনে হবে যেন লাখো রিকশার দখলে ঢাকার রাজপথ। প্যাডেল রিকশা থেকে দ্রুতগতির এ ব্যাটারিচালিত রিকশাকে দেখা যায় বাস কিংবা সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে গতির লড়াই করতে। এত এত ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপটে সড়কে অন্য গাড়িগুলো যেন অসহায়! গতি প্রাথমিকভাবে একটু বেশি হলেও চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না এসব যান্ত্রিক রিকশা, ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। তবে, অন্য সব গাড়ির সঙ্গে গতির লড়াই করলেও আসলে এসব রিকশা বাস, প্রাইভেটকার কিংবা সিএনজি থেকে ধীরগতির। ফলে লাখ লাখ রিকশার ধীরগতির কারণে প্রধান প্রধান সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট।
ঢাকা শহর এখন আন্দোলনের নগরী
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবং নতুন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় আন্দোলন চলছে। এক এক গোষ্ঠী একেক দাবি নিয়ে সড়কে নামছে। এর মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রত্যাশী, চাকরিজীবী, গার্মেন্টসকর্মীসহ অনেকেই।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, সড়কে নেমে তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। তাদের এ রাস্তা অবরোধের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। বিশেষ করে নিউ মার্কেট, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ, মিরপুর, পল্লবী, কচুক্ষেত ও মহাখালী এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করছেন আন্দোলনকারীরা।
ঢাকার রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নেই পুলিশের হাতে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার যানজট কমানোর জন্য বিগত সরকার কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি। উল্টো যানজট বাড়ানোর জন্য যত্রতত্র ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে। সারা পৃথিবীতে বিজ্ঞান বলে, শহরে ফ্লাইওভার করলে গণপরিবহন নিরুৎসাহিত হয়, ছোট গাড়ি উৎসাহিত হয়। গণপরিবহনের দিকে কখনও নজর দেয়নি বিগত সরকার। কারণ, বাসে নজর দিলে এতে কম খরচে কাজ হয়ে যেত, বড় কোনো প্রকল্প নেওয়া যেত না। গত সরকার ঢালাওভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন ও রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। ফলে হঠাৎ করে পঙ্গপালের মতো সারা ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে মোটরসাইকেলে।
এ ছাড়া ছাত্রদের আন্দোলনের সময় বিগত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে ঢাকার প্রধান সড়কে চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। যেন আন্দোলনে গণপরিবহন বন্ধের প্রভাব নগরজীবনে না পড়ে। মূলত এ সিদ্ধান্ত দিয়ে আন্দোলন ঠেকাতে চেয়েছিল সরকার। আগে শহরের অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করত, কিন্তু প্রধান সড়ক কিংবা হাইওয়েতে আসত না।
এ প্রসঙ্গে পরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বুয়েট দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকার প্রধান সড়কে চলার অনুমতি দিয়ে গত সরকার কফিনের মধ্যে শেষ পেরেকটি মেরেছে। এখন ঢাকায় যে দৃশ্যমান যানজট, এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এটাকে নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা এখন নেই। অন্যদিকে, পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার জন্য সড়কে কোনো শৃঙ্খলা নেই। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছে না বলে সড়কে গাড়ির প্রবাহ কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনে ঢাকা শহরে যানজট আরও বাড়বে। এ ছাড়া সবাই হঠাৎ করে আন্দোলনমুখর হয়ে গেছেন। ফলে সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
উত্তরণের উপায় কী— জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমান সময়ে পরিবহন মাফিয়া ও ফুটপাতের চাঁদাবাজরা নেই, সেহেতু যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব ছিল। কিন্তু যাদের দিয়ে এটি করবে সেই পুলিশের সৎ সাহস অনেক কমে গেছে। পুলিশ জানে তাদের বাহিনীর ভাবমূর্তি বেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে পুলিশ শৃঙ্খলা রক্ষা করতে শক্তি প্রয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে।
আইন মানে না মানুষ, দাবি ট্রাফিক পুলিশের
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার সড়কে যানজট নিরসনে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ নভেম্বর ডিএমপিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ১৪৬৬টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ১০২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
এত কিছুর পরও কেন পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না— এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বলছেন, মানুষ আইন মানে না, আমাদের আর কী করার আছে?
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খোন্দকার নাজমুল হাসান বলেন, মানুষ যদি নিজ থেকে আইন না মানে তাহলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আরও এক লাখ পুলিশ সড়কে নামালেও কোনো কাজে আসবে না। আইন ও ট্রাফিক শৃঙ্খলার প্রতি মানুষের ন্যূনতম শ্রদ্ধা থাকতে হবে। মানুষ যদি ইচ্ছা করে উল্টো পথে যায় আমরা কতক্ষণ থামাব? তারপরও তো আমরা থামাচ্ছি, আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে। প্রতিনিয়ত সবাই আইন ভঙ্গ করছেন।
‘বর্তমানে ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যে সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন, আমার মতে সংখ্যাটা ঠিক আছে। কিন্তু মানুষ যদি আইন ভাঙার প্রবণতা দ্বিগুণ করেন তাহলে পুলিশ সদস্য দ্বিগুণ করতে হবে।’
ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন বড় একটা সমস্যা— উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এসব রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাই তখন যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তারপরও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply