পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ২৪ দিন রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ নভেম্বর থেকে তুলে নেওয়া হয় সব ধরনের বিধি-নিষেধ।এরপর ধীরে ধীরে পর্যটকরমুখর হয়ে উঠছে রাঙামাটি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর প্রথমদিকে খুব বেশি পর্যটকের দেখা না মিললেও সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জামালপুর থেকে ঘুরতে আসা ফারজানা আক্তার বলেন, সকালে বোটে সুবলং গিয়েছি। সুবলংয়ে যাওয়া-আসার পথে হ্রদের দুই পাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালো লেগেছে। সুবলং ঘুরে এসে এখন ঝুলন্ত সেতু এসেছেন। প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে আমি বিমোহিত।
চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ঘুরতে আসা রফিক বলেন, রাঙামাটিতে আমাদের এক সহকর্মীর বিয়ে। তার বিয়ে খেয়ে ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে চলে এলাম। ভালো লাগছে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে। যেহেতু আমাদের দেশে এত সুন্দর সব স্পট রয়েছে, এগুলো আরও উন্নত করা দরকার।
পর্যটন বোট ঘাটের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিকে খুব বেশি পর্যটক না আসলেও আস্তে আস্তে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবারও ভালো পর্যটক এসেছে। আশা করছি এভাবে পর্যটকরা আসলে যা ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে পারব।
পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ডেস্ক ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম সানি বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। আমাদের হোটেলে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ বুকিং রয়েছে। অন্যান্য হোটেলগুলোতেও একই বুকিং রয়েছে। আশা করছি সামনে ভালো একটা ব্যবসা হবে।
Leave a Reply