1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় দানার আগমনে উপকূল থেকে ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে ওড়িশা

আবহাওয়া রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

বঙ্গপোসাগরে উদ্ভূত প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার আগমন এবং তার জেরে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তৎপরতা শুরু করেছে ওড়িশার রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন থেকে মোট ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সুরেশ পূজারী বলেন, “রাজ্যের ১৪টি জেলার ৩ হাজারেরও বেশি গ্রাম ও এলাকা ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব গ্রাম/এলাকা থেকে আমরা ১০ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই সরানো হবে।”

পূর্ব-মধ্যবঙ্গপোসাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত দানা ইতোমধ্যে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) তথ্য অনুযায়ী আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকনিকা এবং ধামরার মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়বে দানা।

এর আগে গত মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে ওড়িশার ১৪টি জেলা সতর্কতা জারি করে ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। এই জেলাগুলো হলো গাঞ্জাম, পুরি, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসুর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝাড়, ধেনকানাল, জাজপুর, আঙ্গুল, খোরদহ, নয়াগড় এবং কুট্টাক।

আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশার স্থলভাগে ডানা আছড়ে পড়ার পর এই ১৪ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৬০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১০০-১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এ সময় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পূর্বাভাসে।

ওড়িশা রাজ্য সরকারের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ১৪ জেলার মধ্যে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালাসুর।

ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনর জন্য রাজ্য সরকারের বেশ কয়েক জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ৯ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি মঙ্গলবার এক সংবাদ বলেন, “পরিস্থিতি যত খারাপই হোক, রাজ্য সরকার তা সামাল দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমি জনগণকে ভীত না হওয়ার অনুরোধ করছি। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং ঝড়ের ধাক্কা শেষ হওয়র পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার সহায়তা কার্যক্রম শুরু করবে।”

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট