ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ড বা শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে হঠাৎ মেট্রো ট্রেন ছুটে চলার শব্দ শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই আজ। কারণ, দীর্ঘ ২৪ দিন পর চলবে বহুল প্রতিক্ষীত মেট্রো ট্রেন। তবে এই ট্রেনে কোনো যাত্রী উঠতে পারবেন না। ট্রেনটি শুধুমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চালানো হবে। যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৩ দিন।
ডিএমটিএলের একাধিক দায়ীত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার মেট্রোরেল চালু করার জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপ হিসেবে গত রোববার সংশ্লিষ্টরা হেঁটে হেঁটে পুরো মেট্রোরেলের পথ পরীক্ষা করেছেন। সোমবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। আর মঙ্গলবার যাত্রীবিহীন (ব্ল্যাঙ্ক) ট্রেন পরিচালনা শুরু হতে পারে। এভাবে যাত্রী ছাড়া কয়েক দিন মেট্রোরেল চালানো হবে। এরপরই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে।
ওইদিন রাতে ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে। তবে এর আগেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু প্রক্রিয়া শেষ করে যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে।
এদিকে মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনে হামলার ঘটনায় গত ২২ জুলাই মেট্রোরেল লাইন-৬ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমটিসিএল। এই তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে মো. জাকারিয়া বলেন, মেট্রোরেলের স্টেশনের যেসব জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত সেগুলো জাপান থেকে নিয়ে আসতে হবে। এগুলো সরবরাহ করেছে জাপানের নিপ্পন সিগন্যাল কোম্পানি। তাদের কাছে অর্ডার যাবে। তারা সেগুলো নতুন করে তৈরি করবে। কোয়ালিটি এনসিওর করবে। তার সঙ্গে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এগুলো সম্পন্ন করে, তারপর দেশে আনা হবে। এটা করতে সময় লাগবে। কতদিন লাগবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। আর এখনই মূল্য ধরা যাচ্ছে না। দুই বছর আগের আর এখনকার মূল্যে পার্থক্য থাকতে পারে।
কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমডি স্যার এগুলো বলবেন। আমি তালিকা জমা দিচ্ছি।
ডিএমটিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের দুই প্রান্তে ছয়টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট কাটার মেশিন (ভেন্ডিং মেশিন) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিকিট বিক্রির আটটি কাউন্টার ছিল, সেগুলোও ভাঙচুর করা হয়েছে। স্টেশনের দুদিক থেকেই যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ১৬টি স্বয়ংক্রিয় গেট নষ্ট করা হয়েছে।
এছাড়া কাজীপাড়া স্টেশনে চারটি টিকিট কাটার মেশিন, ছয়টি কাউন্টার এবং ছয়টি স্বয়ংক্রিয় গেট ভাঙচুর করা হয়েছে।
Leave a Reply