পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগে দুই দিন ধরে ঢাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কও বিরাজ করছে। সোমবার ও মঙ্গলবারের ডাকাতির ঘটনার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব টিম গঠন করেছেন বাসিন্দারা। রাতভর জেগে নিজেরা নিরাপত্তা দিচ্ছেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও খবর দিচ্ছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ১১টার পর থেকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মানিকদি, কালশী ও উত্তরা এলাকায় ডাকাতির সংবাদ শোনা গেছে। ডাকাতরা বয়সে তরুণ, হাতে ছুরি-চাপাতি নিয়ে তারা মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করছে।
এদিকে রাত ১২টার পর মোহাম্মদপুর, কেরানীগঞ্জের আটিবাজার, ওয়াশপুর, আরশিনগর, বালুচর এলাকায় ডাকাতির তথ্য ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব এলাকায় মসজিদে মাইকিং হচ্ছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর বসিলার ওয়েস্ট ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, রাত সোয়া ১২টায় লুটপাট করতে বিভিন্ন দিক থেকে ঢুকে পড়ে ডাকাতরা। এলাকার মানুষ লাঠি হাতে বাসা থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। মসজিদ থেকে মাইকিং করে রাস্তায় নামতে বলা হয় এবং সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত ধরে গণধোলাই দেওয়ার চিত্রও চোখে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ইসিবি চত্বরে সেনাবাহিনী সদস্যরা ১৮ জন ডাকাতকে ধরেছেন। স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে তাদের রুখে দিচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ থানায় আক্রমণ করা হয়। এসময় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এ সুযোগে দুর্বৃত্ত ও এক শ্রেণির মানুষ চুরি, ডাকাতি ও লুট শুরু করে।
Leave a Reply