1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

কেরালায় ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৪৩, আরও ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩ জনে পৌঁছেছে। কয়েক ঘণ্টার টানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই ভূমিধসে আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুইশো মানুষ।

এছাড়া রাজ্যটির বেশ কিছু জেলার রেড অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার জানিয়েছে, তাদের প্রিয়জনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় সেনাবাহিনী ওয়েনাদে অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য প্রায় ৩০০ জন সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে। এছাড়া প্রয়োজন দেখা দিলে উদ্ধারকাজে নামানোর জন্য আরও ১৪০ জনকে তিরুবনন্তপুরমে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।

কেরালা অঞ্চলটি অবিরাম বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির জেরে সেখানকার অবরুদ্ধ রাস্তাগুলো এই দুর্যোগের মধ্যে ত্রাণ প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলেছে। রাজ্যটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৭২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আর এরপরই চার ঘণ্টার মধ্যে ওয়ায়ানাদ জেলায় তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

আবহাওয়া দপ্তর আগামী কয়েক দিনের জন্য ওয়ানাদ এবং অন্যান্য কয়েকটি জেলায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে ইদুক্কি, ত্রিশুর, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়েনাদ, কান্নুর এবং কাসারগোড জেলার জন্য। এই জেলাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

এছাড়া চারটি জেলা কমলা সতর্কতার অধীনে রয়েছে। এসব জেলা হচ্ছে- পাঠানামথিট্টা, আলাপ্পুঝা, কোট্টায়ম এবং এরনাকুলাম।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সাথে কথা বলেছেন এবং এলডিএফ সরকারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডাকে দলীয় কর্মীদের উদ্ধার কাজে সহায়তা নিশ্চিত করতেও বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই দুর্যোগে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা করেছে। আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবারের ভয়াবহ এই ভূমিধসে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, জলাশয় ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এবং বহু গাছ উপড়ে গেছে। মুন্ডক্কাই, চুরামালা, আত্তামালা এবং নূলপুঝার মনোরম গ্রামগুলোও অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে অনেকে আটকে আছেন বলে জানা গেছে।

এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গতকাল সন্ধ্যায় একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সেখানে তিনি উদ্ধার অভিযানের পর্যালোচনা এবং ত্রাণ শিবিরে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যালোচনা করেন।

জরুরি সহায়তার প্রয়োজনে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর একটি কন্ট্রোল রুমও খুলেছে। যাদের জরুরি সহায়তার প্রয়োজন তারা কর্তৃপক্ষের সাথে হেল্পলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট