কোটা আন্দোলনের সহিংসতার জেরে দেশে কারফিউ জারি করেছে সরকার। সময় সময় কারফিউ শিথিলও করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও দিন যতই যাচ্ছে সড়কে মানুষের চলাচল আগের চেয়ে বাড়ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ আসন ফাঁকা রেখে ঢাকা ছাড়ছে দূরপাল্লার বাসগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে বাসের ট্রিপ কমিয়েছেন মালিকরা।
মহাখালী বাস টার্মিনালে সৌখিন এক্সপ্রেসের একটি বাসের সুপারভাইজার জানান, ৪০ সিটের গাড়িতে ঢাকা থেকে লোক পাওয়া যায় ১০-১৫ জন। ভাগ্য ভালো থাকলে পথে আরও কিছু লোক ওঠে। আর না হলে এরকম খালি অবস্থায়ই ময়মনসিংহ যেতে হয়। এতে যে পরিমাণ টাকা আসে তাতে বাস চালানোর খরচই ওঠে না ঠিকমতো। আমরা কী নেব আর মালিককে কী দেবো।
বাংলাদেশ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ঢাকা) সফিকুল আলম খোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্দোলনে যা ক্ষতি হয়েছে তা মালিকদের ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। সবকিছু মিলে প্রতিদিন পরিবহন খাতে গড়ে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা লস হচ্ছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, গাড়ি বন্ধ থাকলে মালিকরা টাকা পাচ্ছে না। তাদের তো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। বাসের চালক হেলপারকেও তো পালতে হয়।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে কারফিউ শিথিল হয়েছে। এই সময় মানুষ তার প্রয়োজনীয় কাজকর্মের জন্য বাইরে চলাফেরা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবার কারফিউ বলবৎ থাকবে।
Leave a Reply