যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কার্যত হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য। রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বাটলার শহরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শোভযাত্রা শেষে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য দিতে ওঠেন ট্রাম্প।
হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তাঁর কান ঘেষে একটি বুলেট চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তাঁর সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।
এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত পাশের একটি গাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির জানিয়েছে, রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সুস্থ আছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তাঁর হাতে একটি রাইফেল ছিল।
স্থানীয় অ্যাটর্নি রিচার্ড গোলডিঞ্জার সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন সমর্থকও মারা গেছেন।’
এদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পেনসিলভানিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় সবার নিন্দা জানানো উচিত।
Leave a Reply