দেশে ইন্টারনেট সরবরাহে সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির প্রায় আড়াই মাস পর মেরামত সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান এ তথ্য জানান।
সাইদুর রহমান জানান, এসএমডব্লিউ-৫ কনসোর্টিয়াম শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে। বিএসসিপিএলসির এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে সংযোগ করা সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।
কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটায় অবস্থিত সাবমেরিন ক্যাবল এবং কয়েকটি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হয়।
আর ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসএমডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাচ্ছে বাংলাদেশ।
Leave a Reply