ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে সারা দেশে সোমবার (১৭ জুন) উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি দিয়েছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীবাসীকে পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণেই অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
নগরবাসীরা জানিয়েছেন, পেশাদার কসাইয়ের সংকট এবং ঈদের দিনে একটু ঝামেলা এড়াতেই আজ তারা পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আরিফুর হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিনও মৌসুমি কসাই দিয়ে কোরবানি দিতে পারতাম কিন্তু তারা মাংস ঠিকমত বানাতে পারে না। ঈদের দিন পেশাদার কসাইয়ের সংকট থাকে।
তাই আমরা পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
একই কথা জানালেন মিরপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা শওকত আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দিন কসাই সংকট ও কসাইয়ের দরও অনেক বেশি ছিল তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি।
চাঁদ রাতে গরু কিনে বাসায় ফিরতে ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। ঈদের দিন কসাই ঠিক করতে না পারায় আজ কোরবানি দিচ্ছি বলে জানালেন তালতলা এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেন।
এ বছর রাজধানীতে প্রায় ৫০ লাখ গরু-ছাগল কোরবানি হয়েছে। পেশাদার কসাইয়ের সংকট থাকাটাই স্বাভাবিক। গতকাল সাতটি গরু কেটেছি আজ চারটি গরু কাটার অর্ডার রয়েছে বলে জানালেন মিরপুরের কসাই আলমগীর।
তিনি বলেন, ঈদের দিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হাজারে নিয়েছি। অথচ আজ হাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা নিচ্ছি। আজ এ নিয়ে দুটি গরু কেটেছি। এটির পর আরও দুটি গরু কাটার অর্ডার রয়েছে।
এদিকে পশু কোরবানির পর দ্রুত বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার কোরবানির দিন সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের লোকজন শহর পরিষ্কারের কাজে নামে। প্রতিটি এলাকাতেই পরিষ্কার অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
Leave a Reply