চলতি বছরের জুন থেকে স্কুলফিডিং প্রকল্প চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে জুন ২০২২-এ সমাপ্ত হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ, যথাসময়ে শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আগামী সপ্তাহে সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে আন্ত উপজেলা ও আন্ত জেলা বদলি শুরু হবে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকার পর মার্চের মধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুবকর সিদ্দিক ও মো. মোশাররফ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply