প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের অগ্রাসনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এর ফলে আমাদের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্ব শান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা শুরু থেকেই সমন্বিত উদ্যোগ নেই। ফলে বৈশ্বিক অবস্থানে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের ফলে সারা পৃথিবীর ন্যায় আমাদের এখানেও বাস্তবায়ন কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আমরা অত্যন্ত দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি, জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রেখে অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে পেরেছি। তবে কোভিডের পর পরই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব আমাদেরকেও বহন করতে হচ্ছে, যার প্রভাব সার্বিকভাবে এসডিজি বাস্তবায়ন গতিকেও শ্লথ করছে। আমরা মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় করে এটিকে মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে আবেদনকারী দেশ না হলেও অন্যতম ভুক্তভোগী দেশ। নিজস্ব অর্থে আমরা অভিযোজন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাশনাললি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে।
Leave a Reply