1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন

কোরবানি : চাহিদার চেয়ে ২০ লাখ পশু বেশি আছে

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
  • ৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

গত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরও দেশে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি আছে। দেশি খামারিদের কথা চিন্তা করে কোরবানিতে এবারও পশু আমদানির অনুমতি দেবে না সরকার। একই সঙ্গে পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে থাকবে কঠোর নজরদারি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখের বেশি পশু রয়েছে। আর দেশে চাহিদা রয়েছে এক কোটি ১০ লাখের মতো। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ পশু বেশি আছে।

ক্রেতা আসতে শুরু করেছে গরুর ফার্মে
ঈদ সামনে রেখে ক্রেতা আসতে শুরু করেছে গরুর ফার্মে 

কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, এক লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩০৭টি ভেড়া এবং এক হাজার ২৪২টি অন্যান্য পশু ছিল।

বিদেশ থেকে আমদানি নয়

চাহিদার চেয়ে দেশে কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ বছরও পশু আমদানির অনুমতি দেবে না সরকার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানির অনুমতি দিলে দেশের খামারিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না।

গরুতে ভরপুর হাট, ক্রেতা বেশি দেশি ষাঁড়ের
গরুর হাট

 

এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, দেশে চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু রয়েছে। পশু আমদানির প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি আরও বলেন, কোরবানি নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। যদি কেউ আমদানির চেষ্টা করে, তাহলে সে ঠকবে।

সীমান্তে থাকছে কঠোর নজরদারি

কোরবানি উপলক্ষ্যে সীমান্ত দিয়ে পশুর অনুপ্রবেশ যেন না ঘটে সেজন্য কঠোর নজরদারি থাকবে। কেউ যদি চোখ ফাঁকি দিয়ে পশু আনতে চায় তবে বিজিবি ব্যবস্থা নেবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২ অনুবিভাগ) এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল বলেন, কোরবানির পশুর প্রস্তুতি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রী বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন।

সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ বন্ধই মূল চ্যালেঞ্জ
ঈদ সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান বৃদ্ধি পায় 

মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. এস এম যোবায়দুল কবির বলেন, আশা করা যাচ্ছে এ বছরও দেশি পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে। তবে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সব তথ্য জানাবেন।

গত বছরের চিত্র

গত বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি করা হয় ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি করা হয় ময়মনসিংহ বিভাগে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি, বরিশাল বিভাগে চার লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে তিন লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২টি গবাদি পশু কোরবানি করা হয়।

কোরবানি | Qurbani in Islam

ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫টি ছাগল, এক লাখ দুই হাজার ১৬টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪টি মহিষ, ছয় লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২টি পশু কোরবানি করা হয়।

রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও এক লাখ ৮১ হাজার ভেড়া কোরবানি করা হয়।

খুলনা বিভাগে দুই লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, এক হাজার ৪৯২টি মহিষ, ছয় লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬টি পশু কোরবানি করা হয়।

বরিশাল বিভাগে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯টি মহিষ, এক লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও এক হাজার ৪৮৫টি ভেড়া কোরবানি করা হয়।

সিলেট বিভাগে এক লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, এক হাজার ১৫৩টি মহিষ, এক লাখ ৭২ হাজার ৭৪টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০টি ভেড়া কোরবানি করা হয়।

রংপুর বিভাগে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩টি ভেড়া কোরবানি করা হয়।

ময়মনসিংহ বিভাগে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৫টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, এক লাখ ৮৬ হাজার ২৯টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি করা হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট