1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে তাকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ডিবি সূত্র জানায়, কারিগরি বোর্ডের সনদ বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে শেহেলার বিরুদ্ধে এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ জানান, অন্য আসামিদের জবানবন্দির ভিত্তিতে শেহেলা পারভীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে আনা হয়েছে।

এর আগে একই মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলি, হিলফুল ফুজুল নামের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন রিমান্ডে আছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় ডিবি।

এ সার্টিফিকেট কিন্তু জাল নয় বরং সরকার যে কাগজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সনদ দেয়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান একই কাগজ ব্যবহার করে সার্টিফিকেট বানাতেন। অর্থাৎ তিনি শিক্ষা বোর্ড থেকে কাগজ এনে বাসায় বসে সার্টিফিকেট বানাতেন। রেজাল্ট অনুযায়ী তিনি টাকা নিতেন। তবে ৩৫ হাজারের কমে কাজ করতেন না।

সার্টিফিকেট বানানোর পর সেই রেজাল্টের তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারে আপলোড করে দিতেন। এ সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে বিদেশে গেছেন, অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, আবার অনেকে চাকরি করছেন। এভাবে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিকে জানায়, সবাইকে ম্যানেজ করে অর্থাৎ শিক্ষা বোর্ডের সবার সঙ্গে যোগসাজশ করে কাগজ বের করা হতো। এমনকি তার এ সার্টিফিকেট তৈরির কারখানার বিষয়ে অনেক সাংবাদিক জানতেন। সবাই তার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট