বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হয়েছে। অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসসহ অন্তত ৩১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯টি যানবাহন পুড়েছে প্রথমদিন। দ্বিতীয় দিন পোড়ানো হয়েছে ১২টি যানবাহন। এছাড়া, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিরতি দিয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত তৃতীয় দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়।
সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অভিযান এখনো অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। সবশেষ গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে। এছাড়া গত কয়েকদিনে সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুল হকসহ বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply