1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন জাকির নায়েক জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছাল দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত থাকবে আরো পাঁচ দিন- আবহাওয়া অধিদপ্তর ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার ৮ বাংলাদেশি নিহত গাজা যুদ্ধ বন্ধে মিসরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও ইসরায়েলের আলোচনা শুরু রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস উত্তরায় সাংবাদিক পেটানো সেই আকাশ দুই সহযোগীসহ সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার রাতের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস ফাঁকা ঢাকায় চলাচলে স্বস্তি, নেই চিরচেনা যানজট  মব আতঙ্কে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রাজধানীর উত্তরাবাসী, সমন্বয়ক কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা

৩৫ বছর নৌকা চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন নাজমা

মহানগর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৭১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নারীরা সমাজের বোঝা নয় বরং কঠোর পরিশ্রম তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। তারই দৃষ্টান্ত নেত্রকোনা দুগার্পুরে সুমেশ্বরীর বিজয়পুর ঘাটে ৩৫ বছর ধরে নৌকা চালিয়ে জীবন জীবিকা অর্জন করছেন ৫০ বছর বয়সী নারী নাজমা খাতুন।

নেত্রকোনা জেলার দুগার্পুর উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেষা বিজয়পুর গ্রামের সুমেশ্বরী নদীর তীরের আব্দুর রশীদের স্ত্রী নাজমা খাতুন। স্বামী সুমেশ্বরী নদীর বুকে নৌকা চালিয়ে জীবিকা অর্জন করতেন।

তাদের সংসারে তার দুই ছেলে এক মেয়ে, স্বামী নিয়ে বেশ ভালোই চলছিলো তার সুখের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় নাজমার।

ছেলে দুইটি মারা যায় আর এক মেয়ে বিয়ে দিয়ে দেন। সুমেশ্বরী নদী ভাঙ্গনে নিয়ে যায় জমি ভিঠা। হঠাৎ একদিন স্বামী অসুস্থ হয়ে যায় সংসারে নেমে আসে সীমাহীন অভাব। এ অভাবের কারণে নারী হয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে দুগার্পুরের বিজয়পুর এলাকার নাজমা খাতুন। অসুস্থ স্বামীর বরণ পোষণ এবং নিজেকে বেচে থাকার তাগিদে প্রতিদিন ভোর বেলায় বৈঠা হাতে নিয়ে বের হন বিজয়পুর সুমেশ্বরীর নদীর তীরে বিজয়পুর ঘাটে।

বিজয়পুরে আগত ভ্রমণ পিপাসু দর্শনাথীদের নিয়ে পার হন নদীর এপার থেকে ওপার। ভ্রমণ পিপাসুরা তার নৌকায় উঠে দুর্গাপুরের সুমেশ্বরী নদীর সৌন্দর্য় উপভোগ করেন, সারাদিনের পারিশ্রমিক নিয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেন নাজমা।

নাজমা খাতুন বলেন, যতদিন শক্তি সামর্থ্য আছে ততদিনই এ কাজ করে যাবো। দুটি সোনার টুকরা ছেলে ছিল তাদের অকালে চলে গেল আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে। আমার স্বামী অসুস্থ মানুষ তার জন্যই কষ্ট করে যাচ্ছি, দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত এ ঘাটে নৌকা চালাচ্ছি। যদি সরকারি কোনো সহযোগিতা পাই বাকি জীবনটা একটু সুখে যাবে।

ভ্রমণে আসা তনময় আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, জীবনের শেষ সময়ে এমন একজন নারীর নদীকেন্দ্রীক ব্যতিক্রমী পেশা গড়ে উঠা সত্যিই বড় প্রসংসার। তার জীবন থেকে অনেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত।

নেত্রকোনা মহিলা অধিদপ্তরের মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক নাজনীন সুলতানা বলেন, নারী হয়ে সে নৌকা চালিয়ে জীবিকা অর্জন করে সত্যিই সে প্রসংসার দাবীদার। সে যদি সহযোগিতা চায় আমরা মহিলা পরিষদ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবো বলে জানান এই নারী কর্মকর্তা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট